তিতাসে পাকের ঘর নির্মান নিয়ে মারামারি অতঃপর রাতে ডাকাতি

তিতাস উপজেলা

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা খলিলাবাদ গ্রামে পাকের ঘর তোলা নিয়ে দুই পক্ষের ঝগড়া ঝাটিসহ কয়েক জন আহত,এবং হত্যার হুমকি-ধামকি। ঘটনাটি ঘটেছে ০৪.০৪. ২১শনিবার দুপুরে তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামে। লতিফা বেগম অভিযোগ করেন আমার শ্বশুর আমার স্বামীকে পৃত্তক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলে আমরা ফফু শাশুড়ির নিকট থেকে খরিদ করে মালিক হয়েছি, এতে করে আমদের আত্মীয় প্রতিপক্ষ আমাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ঝগড়াঝাটি করে আসছে এবং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়, এবং বলে এই জায়গা ছেড়ে, দিতে কিন্তু আমরা টাকা দিয়ে জায়গা খরিদ করেছি আমরা কেন এই জায়গায় ছাড়বো। লতিফা বেগম আরো বলেন আমাদেরকে মারধর করে আহত করে।

আমরা মামলা করার কথা বললে ঐদিন রাত প্রায় ১১টার আনুমানিক সময় আমার ঘরের টিনের দরজা ভেঙ্গে ও চৌকাটের টিন খুলে ৬/৭ জনের একটি ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, ঘরে থাকা স্বর্ণঅলংকার টাকা যা আছে সব নিয়ে যায়। এবং আমার ছোট বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায়, যদি তোরা পুলিশকে বলিস তাহলে তোর বাচ্চাকে উঠিয়ে নিয়ে মেরে ফেলবো। মেয়ের জামাইকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আমার বাপের বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা এনেছি আলমারীতে ছিলো, ৫ ভরি স্বর্ণ অলংকার সব নিয়ে যায়। আমরা দুইজন ডাকাতকে চিনতে সক্ষম হয়েছি,একজন মোঃ সাত্তার মিয়া পিতা সুরুজ মিয়া গ্রাম নারান্দিয়া, আরেকজনের নাম মতিন মিয়া, পিতার নাম জানি না।

এব্যাপারে তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়,লতিফা বেগমের মেয়ের জামাই মোঃ শুকুর আলী বাদি হয়ে, মামলা করেন,পিতা নাজিম উদ্দিন গ্রাম খলিলাবাদ। মামলার এক নাম্বার আসামি মোহাম্মদ ছাত্তার মিয়াকে টেলিফোন করলে তার মোবাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।পরবর্তীতে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন সাত্তার মিয়া একজন দুষ্কৃতিকারী এবং খারাপ প্রকৃতির লোক। সাংবাদিকেরা সরেজমিনে গেলে ঘরের আসবাব পত্র ভাঙ্গা পাওয়া যায়, এ দিকে সাত্তার মিয়া সাংবাদিকদের আসার খবর শুনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে লতিফা বেগমকে দ্বিতীয়বারের মতো হত্যার হুমকি দিয়ে আসে।লতিফা বেগমের পরিবার ভয়ে ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *