মর্মাহত মেহজাবিন ‘সাক্ষাৎকার’ গ্রহণকারীর নাম জানতে চাইলেন

বিনোদন

মর্মাহত মেহজাবিন ‘সাক্ষাৎকার’ গ্রহণকারীর নাম জানতে চাইলেন

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘সাক্ষাৎকার’ নিয়ে বেশ মর্মাহত জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। তার দাবি, সাংবাদিক তার সঙ্গে কথা না বলেই সাক্ষাৎকার ছেপে দিয়েছেন। আর এ নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন মেহজাবিন।
রোববার (১২ মে) বিকেলে দেয়া ওই পোস্টে মেহজাবিন বলেন, দু’য়েকজন সাংবাদিকের অপ্রত্যাশিত কাজের জন্য শিল্পীদের নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।

তিনি লিখেন, ‘সাংবাদিক ও শিল্পীরা একজন অন্যজনের পরিপূরক। আমিও তাই বরাবরই সাংবাদিক ভাই/ বোনদের আমি বরাবরই শ্রদ্ধা করে এসেছি। তবে মাঝেমধ্যে দু-একজন সংবাদকর্মী এমন কিছু অপ্রত্যাশিত কাজ করে ফেলেন, যার জন্য আমাদের শিল্পীদের নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
পোস্টের সঙ্গে ওই ‘সাক্ষাৎকারের’ লিংকটিও যুক্ত করে দিয়েছেন তিনি। যেখানে একটা জায়গায় এ অভিনেত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘ভালো নাটক পেতে হলে লগ্নিটাও ভালো করতে হবে। বাজেট স্বল্পতার কারণে অনেক নাটকই পরিকল্পনা মতো করা যায় না। এর পরিবর্তন দরকার। এখন পরিচালকরা শুরু টিভিতে নাটক বেচেই অর্থ আয় করছেন না। পাশাপাশি একটি নাটক ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেও প্রচুর টাকা আয় করছেন। ইউটিউব থেকে আয়ের ভাগ সবার পাওয়া উচিত। পরিচালক, শিল্পী এমনকি যে ছেলেটা সারাদিন লাইট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তারও পাওয়া উচিত।’
তবে মেহজাবিনের দাবি, তার সঙ্গে কথা না বলেই এটাকে তার সাক্ষাৎকার হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।

ফেসবুকে মেহজাবিন লিখেন, ‘আজ আমার সাথে কোনো ধরনের কথা না বলে একটি জাতীয় দৈনিকে আমার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমত: যে বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে, সে বিষয় সম্পর্কে কথা বলার বয়স, ধৃষ্টতা কোনোটিই আমার নেই। দ্বিতীয়ত: একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে শ্রদ্ধেয় পরিচালকদের সম্পর্কে কেন আমি এভাবে কথা বলবো? আমি বরাবরই মন থেকে, আমার কাজ দিয়ে, আমার আচরণ দিয়ে আমার পরিচালকদের শ্রদ্ধা করে এসেছি, তাদের কাজকে সম্মান করেছি। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে তারা যেভাবে কাজ করেন, আমরা শিল্পীরা অন্তত তা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করি। সুতরাং তাদের সম্পর্কে আমার কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অপ্রত্যাশিত। তাছাড়া বিগত ১৫ দিনে কাজের চাপে আমি বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক ভাই/ বোনকে সাক্ষাতকার দেইনি। দেয়ার সময় করতে পারেনি। সুতরাং আমার সাথে কথা না বলে, আমার অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের সাক্ষাতকার ছাপানোটা আমার দৃষ্টিতে বেশ অশোভন, নৈতিকতা বিরোধী।’

তিনি আরো লিখেন, ‘আশা করবো, আমার অন্য সাংবাদিক ভাই/ বোনেরা আমাকে এই প্রতিবেদক/ সাংবাদিকের নাম জানিয়ে আমাকে সাহায্য করবেন, তার সাথে কথা বলবার সুযোগ করে দেবেন। কারণ আমি জানতে চাই, অনুমতি ছাড়া মনগড়া, ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা আসলে কতটুকু? দর্শকদের কাছে, দেশবাসীর কাছে একজন শিল্পীকে হেয় করা/ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তার বিভ্রান্তিকর অবস্থান তৈরি করার যৌক্তিকতা আসলে কতটুকু? তবে কেউ যদি দাবী করেন, তার সাথে আমার কথা হয়েছে, তাহলে দয়া করে তার সাথে আমার কথা হবার কল লিস্ট প্রকাশ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। সবাইকে ধন্যবাদ।’ সূূত্রে সময় টিিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.