শাহীন সুলতানা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানা সংলগ্ন এলাকাস্থ একটি মার্কেট থেকে দিনের বেলায় চুরি হওয়া সাংবাদিক ফারজানা আক্তারের একটি OPPO মোবাইল সেট উদ্ধার করে এনে দিয়ে প্রশংসিত হয়েছে ভৈরব থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত মোবাইল সেটটি গত সোমবার বিকেলে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ এর অফিস রুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে নারী সাংবাদিক ফারজানা আক্তারের হাতে তুলে দেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সেট উদ্ধারকারী অফিসার এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কুলিয়ারচর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ কাইসার হামিদ ও ভৈরবের সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান পাটেয়ারী।
দৈনিক আজকের সারাদিন পত্রিকার কুলিয়ারচর প্রতিনিধি ও কুলিয়ারচর বাজারস্থ এস জামান মার্কেটের “ফারজানা ফ্যাশন গার্মেন্টস” এর সত্বাধিকারী ফাজানা আক্তার জানান, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে তার দোকান থেকে তার অব্যবহৃত একটি OPPO সেট চুরি হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন কুলিয়ারচর থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ রহস্যজনক কারনে মামলা না নিয়ে সেটটি হারিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে থানায় একটি জিডি নেয়। জিডি নং – ১৫৫৯। ফারজানা সেটটি উদ্ধারের জন্য থানায় বহুবার যোগাযোগ করে সন্মানী দিয়েও সেটটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পারেনি। পরে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ কাইসার হামিদের মাধ্যমে প্রথমে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চুরি হওয়া মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর অবস্থান জেনে তার মাধ্যমে ভৈরবের সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান পাটোয়ারীর সহযোগীতায় গত ১৫ মার্চ রোববার বিকেলে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনের স্মরণাপন্ন হন।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন এর নির্দেশে থানার চৌকোস অফিসার এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গত ১৬ মার্চ সোমবার বিকেলে আধাঘন্টা অভিযান চালিয়ে ভৈরব রাণী বাজার থেকে নূপুর (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রীর নিকট থেকে সেটটি উদ্ধার করে। ফারজানা আক্তার আরো বলেন, দেড় মাসে সেটটি উদ্ধার করতে যেখানে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ব্যার্থার পরিচয় দিয়েছে, সেখানে ভৈরব থানা পুলিশ আধাঘন্টার মধ্যে সেটটি উদ্ধার করে সফলতার পরিচয় দিয়েছে। এজন্য ভৈরব থানা পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা। এমন অফিসার প্রতিটি থানায় দায়িত্ব পালন করলে এদেশ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
নূপুর জানান, সেটটি তার প্রেমিক স্বজল নামে এক যুবক বিদেশ যাওয়ার সময় তাকে দিয়ে যায়। সেটটি চুরিকৃত জানলে সে রাখতোনা।
সেট উদ্ধারকারী অফিসার এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেটটি চুরি হওয়ার পর পাঁচ হাতে হাত বদল হয়েছে। তারা হলো মুন্না, শাউন, ইকবাল,স্বজীব ও নূপুর।
জানা যায়, মোবাইল সেট উদ্ধারকারী অফিসার
সাব-ইন্সসপেক্টর (এস আই) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গত ফেব্রুয়ারী-২০২০ মাসে কিশোরগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উদ্ধারকারী অফিসার নির্বাচিত হয়ে প্রশংসিত হওয়ায় গত ১১ মার্চ বুধবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। এ সময় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।