রাজশাহীতে এটেমটু মাডার মামলার প্রধান আসামীকে চার্জশিট থেকে বাদ দিলেন এসআই রহিম।

বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারায় এটেমটু মার্ডার মামলার এজাহার ভুক্ত এক নং আসামীকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েই ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট আদালতে প্রদান করেছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদি কাকলি ইয়াসমিন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় মামলার বাদিনী সোমবার এসআই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময় মামলার মুল এজাহার থেকে ১ নং আসামী ও ৪ নং আসামীকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট প্রদান ও মোটা অঙ্কের অবৈধ অর্থের বিনিময় ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার ও রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মামলার বাদি কাকলি ইয়াসমিন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে নিজ বাড়িতে জমি-জমার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে কাকলী ইয়াসমিনের স্বামী বাগমারা উপজেলার তালঘরিয়া গ্রামের মতিউর রহমান রনি কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম এর ঘটনায় গত ১২-০৩-২০১৯ ইং তারিখে রাজশাহীর আমলী (৪) আদালতে বাগমারা উপজেলার তালঘরিয়া গ্রামের র্শীষ জঙ্গি ও বাংলা ভাইএর অন্যতম সহযোগী অস্ত্রধারী মাহাতাম খামারুকে এক নং আসামী, দুই নং তার ছেলে সন্ত্রাসী স্বাধীন খামারু, তিন নং রতন খামারু ও সেলিনা বেগম কে আসামী করে কাকলী ইয়াসমিন বাদি হয়ে লিখিত এজাহার দিয়ে মামলা দায়ের করে।

সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৃতীয় হিসাবে বাগমারা থানার এসআই আব্দুর রহিম কে দেয়া হয়। তদন্ত শেষ করে গত ২৭ -১১-২০১৯ ইং ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট চার্জশিট আদালতে জামা দেন তিনি। সেই চার্জসিট বাদি কোর্ট থেকে জবেদা কপি উত্তলন করে দেখে। মামলার এজাহার ভুক্ত ১ নং ও ৪ নং আসামীর নাম নেই। এছাড়া ঘটনার সাক্ষি হিসাবে ১ নং নজরুল ২ নং আমিনুর ও ইকবার এদের জবানবন্দি না নিয়ে আসামীদের পক্ষে ৪ জন সাক্ষির কাছে মিথ্যা জবান বন্দি চার্জশিটে উল্লেখ করে। এ বিষয় মামলার বাদি কাকলী ও তার স্বামী রনি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করলে, বাদিকে মাদক মামলা দিয়ে জেলে ডুকাবো ও গুলি করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

মামলার বাদি কাকলি ইয়াসমিন ও তার স্বামী রনি জানান, মামলার ১ নং আসামী একজন র্শীষ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হিসাবে সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। সে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে আমার স্বামীকে জবাই করে হত্যার জন্য আমার নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে জখম করে। আল্লাহ্ তালা আমার স্বামীকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার পরে প্রথমে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তারা মামলা নেয় না। নিরুপায় হয়ে রাজশাহীর আদালতে মামলা করা হয়। মামলা তদন্ত এর আগে দুই জন করেছে। তৃতীয় এসআই আব্দুর রহিম। আসামীর কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে প্রধান আসামীকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দেয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা আমার স্বামী রনি ও আমাদের প্রতি চরম অন্যায় করেছে। এমন পুলিশ অফিসার কলঙ্ক পুলিশ বাহিনীতে। এ অন্যায়ের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই ও সুস্ট তদন্ত করে ন্যয় বিচার চাই বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে এসআই আব্দুর রহিমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা। সুষ্ঠ ভাবে তদন্ত করে ওই মামলার চার্জশিট ফাইনাল আদালতে দাখিল করা হয়েছে। কোন অর্থের বিনিময় এটা করা হয়নি বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *