৩৩৮ রানের লক্ষ্যটা ওয়ানডেতে বিশাল। কিন্তু, এই লক্ষ্যটা যখন তারা করবেন রহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা তখন তা অসম্ভব মনে হওয়ার কথা নয়। বিশেষ করে যে পিচে ব্যাটসম্যানরাই সহায়তা পাচ্ছে বেশি।
কিন্তু বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেললেন তাতে বহু প্রশ্নেরই জন্ম দিলো।
ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অঙ্গভঙ্গিতে স্পোর্টসম্যানশিপ খুঁজে পাননি। খোদ ভারতেও সমালোচনা হচ্ছে ব্যাপক। বিশেষ করে শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং কেদার জাদবের জুটির ব্যাটিং দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৭০ রানের মতো। ব্যাটিংয়ে তখনও আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, যাকে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফিনিশার হিসেবেই ধরা হয়। সঙ্গী কেদার যাদব। কঠিন হলেও ম্যাচে জয় পাওয়া ভারতের জন্য অসম্ভব নয়, এ কথার সঙ্গে একমত হবেন অনেকে।
কিন্তু এজবাস্টনে যা দেখা গেল, তাতে প্রশ্ন উঠছে ধোনি এবং কেদার জেতার চেষ্টা করেছেন তো? এক-এক সময় এমনই উদ্ভট দেখাচ্ছিল ধোনি এবং কেদারের ব্যাটিং যে, নিজের গায়েই চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে করছিল, সত্যিই লাইভ ম্যাচ হচ্ছে তো? নাকি কোনও ম্যাচের শুটিং? প্রত্যেক ওভারে যখন দরকার প্রায় ১৩ রান করে, তখন তারা সিঙ্গেল রান নিয়ে যাচ্ছেন। বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হওয়া তো দূরের কথা, চেষ্টাই তো তারা করছেন না।
শেষের আধ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের মতো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হলো উল্টো! একেবারেই ম্যাড়মেড়ে ব্যাটিং। যুক্তি দেখানো হতে পারে, নেট রানরেট ঠিক রাখতে সাবধানী ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনিরা। কিন্তু পাঁচ উইকেট হাতে নিয়েও এমন ব্যাটিংয়ের যা ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক তা ভক্তদের মেনে নেয়া কঠিন।
ধোনি এবং কেদার দুজন মিলে খেলেন ৩১ বল। তার মধ্যে ৭ বলে কোনো রান নেই, ২০টি এক রান, ৩টি চার এবং ১টি ছক্কা। শেষ ওভারে গিয়ে যখন জেতার জন্য ভারতের ৪৬ রান দরকার, প্রথম বলে ছয় মারলেন ধোনি। কিন্তু ওই ছক্কাও তখন পানসে লাগছিলো। দ্বিতীয় বলে ধোনি আবার এক রান নিতে অস্বীকার করলেন। স্ট্রাইকে থাকলেন। তাতে লাভ কী? হয়তো কটা রান বেশি হবে, নেট রান রেট কিছু বাড়বে। কিন্তু হারতো নিশ্চিত।
ভারত শুধু বিস্ময়কর ব্যাটিং করে ম্যাচই হারল না এজবাস্টনে, লাখো ভক্তের হৃদয় থেকেও দূরে সরে গেল।
অপরদিকে ৩১ রানে জিতে ইংল্যান্ড শেষ চারের দৌড়ে টিকে থাকলো।সূত্র: সময় টিভি