লিটন সরকার বাদল,
৩১ জানুয়ারি ২০২০, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া- আদমপুর সিসিডিএ অফিস সংলগ্ন মৎস্য প্রকল্পে ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে একটি বিরল প্রজাতির গুইসাপ আটকে যায় । কিশোর -যুবকরা আনন্দেচিত্তে এটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সে সময় পুটিয়ার আল আমিনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে যান রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত। তিনি বিরল প্রজাতির গুইসাপটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে নিরাপদ স্হানে অবমুক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন’ বন্য প্রাণী সংরক্ষণে শিশু কিশোর তরুণদের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জীব বৈচিত্র্যই পৃথিবীর সৌন্দর্য।’ উল্লেখ্য পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মী মতিন সৈকত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিষমুক্ত ফসল, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, মাত্র ২০০টাকা মূল্যে ২৫ বছর মৌসুমব্যাপি বোরোধানে সেচ সুবিধা প্রদান, খাল-নদী পূনঃখনন আন্দোলন, প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, এক হাজারের বেশি পাখি উদ্ধার এবং অবমুক্তিকরণ, সামাজিক উন্নয়ন সহ দশটি খাতে পরিবর্তনের নেতৃত্ত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। তার অবদান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করছে। মতিন সৈকত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর গ্রামের কৃতিজন। তিনি সামাজিক বহুমুখী উন্নয়নে অবিরাম নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৮৭ সালে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য মতিন সৈকত মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। মিডিয়া ব্যাক্তিত্ত রেজাউল করিম সিদ্দিকী, শাইখ সিরাজ, মুন্নীসাহা, রামেন্দু মজুমদার সহ অনেকে তাকে নিয়ে প্রামান্য অনুষ্ঠান করেন। মতিন সৈকতের কর্মকান্ডের উপর বিভিন্ন প্রতিবেদনের পাশাপাশি ইংরেজিতে তার উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ইয়াসমিন রীমা “অব দ্যা বেটেনটেক দি ক্রপ ক্রুসেডার”। প্রভাষক রতন চন্দ্র দেবনাথ “এম্যান টু বিফলোইড”, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স থিসিস পর্বের গবেষক প্রশান্ত কুমার দেব “এরিয়েল প্রেট্রিয়ট”। প্রভাষক আঃ মতিন লেখেন” এনলাইটেট মতিন সৈকত। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, রেডিও টেলিভিশন তার সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন প্রচার করে তাকে উৎসাহিত করেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি টেলিভিশন তার ডকুমেন্টারি প্রচার করে। জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্হা এফ, এ, ও, – ডি,এফ,আই,ডি এবং কানাডা বাংলাদেশ সেন্টার তাকে অভিনন্দন জানান। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে তিনি সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে চারবার প্রথম স্হান অর্জন করেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্যাবহারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ১৪১৫ এবং ১৪২১ বঙ্গাব্দে দইবার কৃষিতে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকে ভূষিত করেন।