২০ বছর পর আবারও ইংল্যান্ডের মাটিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ পাকিস্তান। সেবার নর্দাম্পটনে, এবার লর্ডসে। এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের খেলার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সামনে এখনও সমীকরণ টিকে আছে। তবে সেটা অনেকটাই অসম্ভব একটি সমীকরণ।
সেই সমীকরণ মেলানোর জন্য লর্ডসে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য শেষ ম্যাচটা অন্তত জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখা।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় মাঠে নামার আগে জেনে নেয়া যাক, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুই দেশ কে কার চেয়ে এগিয়ে, কে কার চেয়ে পিছিয়ে।
বিশ্বকাপছাড়া ওয়ানডে ইতিহাসের কথা বিবেচনায় আনলে অবশ্যই পিছিয়ে বাংলাদেশ। কারণ, দু’দল ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে। এর মধ্যে পাকিস্তানের জয় ৩১টিতে এবং বাংলাদেশের জয় কেবল ৫টিতে। পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখলে এ জায়গাতেই এগিয়ে রাখা যায়।
কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে দু’দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের হিসাব-নিকাশ সামনে আনলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব। কারণ, শেষ ৫ বারের মুখোমুখিতে যে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে জোজন জোজন পিছিয়ে! শেষ ৫ লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছে চারটিতে, একটি পাকিস্তান। এমনকি শেষ চারটিই জিতেছে বাংলাদেশ।
২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর গত বছর এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। সেখানে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনাল খেলেছিল টাইগাররা।
এতো গেলো সবমিলিয়ে ওয়ানডের হিসেব-নিকেশ। বিশ্বকাপের কথা বললে, সেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শতভাগ সাফল্য। কারণ, বিশ্বকাপে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে কেবল একবারই। ১৯৯৯ সালে নর্দাম্পটনে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এছাড়া ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানগুলোতে যদিও পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে; কিন্তু বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারই এগিয়ে নেই বাংলাদেশিদের চেয়ে। যারা ছিল, তারা সবাই পুরনো এবং বর্তমানে অবসরে। বর্তমান দলটির ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স হিসেব করলে দেখা যাবে বাংলাদেশেই ঢের এগিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশ-পাকিস্তান পরিসংখ্যান
ম্যাচ : ৩৬
বাংলাদেশের জয় : ৫টি
পাকিস্তানের জয় : ৩১টি
সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর
বাংলাদেশ : ৩২৯/৬, ২০১৫, ঢাকা
পাকিস্তান : ৩৫৮/৭, ২০১০, ডাম্বুলা
সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর
বাংলাদেশ : ৮৭, ২০০০, ঢাকা
পাকিস্তান : ১৬১, ১৯৯৯, নর্দাম্পটন
সবচেয়ে বড় জয়
বাংলাদেশ : ৭৯ রানে এবং ৮ উইকেটে
পাকিস্তান : ২৩৩ রানে এবং ১০ উইকেটে
সবচেয়ে বেশি রান (ব্যক্তিগত)
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল ৬৭৬ রান।
পাকিস্তান : মোহাম্মদ ইউসুফ ৮৯৩ রান।
সর্বোচ্চ ইনিংস
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল ১৩২
পাকিস্তান : সালমান বাট ১৩৬
সবচেয়ে বেশি উইকেট
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান ২১ উইকেট
পাকিস্তান : শহিদ আফ্রিদি ৩২ উইকেট
সেরা বোলিং
বাংলাদেশ : মোস্তাফিজুর রহমান ৪/৪৩
পাকিস্তান : আবদুল রাজ্জাক ৬/৩৫