নারী দিবসে দাউদকান্দিতে মতিন সৈকতের নদী অলম্পিয়ার্ড

দাউদকান্দি উপজেলা

লিটন সরকার বাদল, দাউদকান্দি, কুমিল্লা ||
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুরে কালাডুমুর নদের পাড়ে ৮ মার্চ রবিবার সকালে খাল- নদী, জলাশয় রক্ষায় সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে মতিন সৈকতের নদী অলম্পিয়ার্ড অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি ও পরিবেশ আন্দোলন বাকৃপা’র আয়োজনে সভাপতিত্ত করেন সংগঠনের সভাপতি দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত অধ্যাপক মতিন সৈকত এ আই পি। ( Agriculture Important Person)

মতিন সৈকত বলেন আমরা প্রত্যেক বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করি। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এখন কর্মক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সে জন্য নারীদেরকে নিয়ে সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে খাল- নদী জলাশয় সুরক্ষার জন্য নদী অলিম্পিয়ার্ডের আয়োজন করি। ১৯৯০ থেকে কালাডুমুর নদী পূনঃখননের দাবিতে ত্রিশ বছর যাবত আন্দোলন করে আসছি। বোরো মৌসুমে কালাডুমুর নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দাউদকান্দি, মুরাদনগর, চান্দিনা ও কচুয়া চারটি উপজেলার আনুমানিক ৫০ হাজার বিঘা জমিনের প্রায় ১৩ লক্ষ মণ বোরেধান ফলনে প্রতি বছর মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় নদী পাড়ের কৃষক। ২০০৭ সালে সেচের পানির প্রয়োজনে কালাডুমুর নদীর উৎস মুখে দুই কিলোমিটার এবং ২০১৫ সালে আধা কিলোমিটার পূনঃখনন করে সেচের পানি অব্যাহত রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালাই।

নদীটি পূনঃখননে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ২০ বার মানববন্ধন, সংবাদ সন্মেলন, কোদাল মিছিল, প্রতীকি অনশন, নদী মেলা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করি। কালাডুমুর নদীর পানি দিয়ে পচিঁশ বছর যাবত মৌসুমব্যাপি মাত্র দুইশ টাকা বিঘাপ্রতি একশ পঞ্চাশ বিঘা বোরোধানের জমিনে সেচ দিয়ে আসছি । অথচ একই পরিমাণ জমিতে দেশের সর্বত্র সেচের খরচ দিতে হয় বারশ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। কালাডুমুর নদী পূনঃখননের জন্য গৌরীপুর গোমতী নদীর উৎস মুখ থেকে ইলিয়টগন্জ পর্যন্ত ৪১৮৫০ ( একচল্লিশ হাজার আটশত পঞ্চাশ ফুট) নিজস্ব খরচে এবং উদ্যোগে পরিমাপ করে ২০০৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমা দিয়েছি। সম্প্রতি নদীটি পূনঃখননের জন্য অর্থ বরাদ্ধ হয়েছে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজেদের অঞ্চলের খাল-নদী জলাশয় সুরক্ষার জন্য আন্দোলন করি। তাহলে দেশের খাল- নদী, জলাশয়কে আমরা রক্ষা করতে পারব। এতে শতাধিক নারীসহ স্হানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মোল্লা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রুনা লায়লা, সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জান্নাত, হাফসা মোজাম্মেল, সিসিডিএ সীম প্রকল্পের মোঃ শাহজাহান, সমৃদ্ধির মোঃ হাসান আলী, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ ইয়াসিন, মোঃ আল-আমীন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.