তিতাসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ্য।

কুমিল্লা তিতাস উপজেলা বাংলাদেশ

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত আনুমানি ৮ টায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামে। নিহত যুবক ওই গ্রামের মৃত নজিম উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. শাহরিয়ার(৩২)।

এঘটনায় জরিত সন্দেহে রাতেই ২জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় শাহরিয়ার তার এক বন্দুর সাথে সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে কালিপুর সড়কে হাটতে যায় এবং বাড়ি ফেরার পথে সুমন মিয়ার গরুর ফার্মের সামনে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন শাহরিয়ারকে আটক করে গরু চোর বলে অপবাদ দিয়ে এলোপাতারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে এবং হাতের পাজরে লোহার রোড ঢুকিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে গাছের সাথে বেধে রাখে।

এমন সময় একই গ্রামের আলী আশাদ মোল্লা(৫০)দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে খবর দিলে শাহরিয়ার বড় ভাই ও ভাবিরা ঘটনা স্থলে গেলে শাহরিয়ার বাচার জন্য তার ভাইদের কাছে খুব আকুতি করে তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু ওই নরপশুরা তাকে ডাক্তারের নিকট নিতে দেয়নি। ছোট ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে বড় ভাই গোলাম মোস্তফা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে শাহরিয়ারকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ২জনকে আটক করে। আহত শাহরিয়ারকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এঘটনায় গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামী করে এবং আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জুমো বেগম সাংবাদিকদের বলেন শাহরিয়ার ভাই আজ ৩ দিন ধরে জ্বরে বুকছে তার পরও সন্ধায় বন্ধুর সাথে হাটতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে সুমন,আনিছ ,ওয়াসিম,নুরমোহাম্মদ,আবুতাহের,আলী আক্কাছ, রেজাউল, আলমগীর ও শিমুসহ ৩০/৩৫জন মিলে ভাইকে এলোপাতারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে গাছের সাথে বেধে রাখে,আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যেতে চাইলে পাষন্ড আনিছ ,সুমন,ওয়াসিম,আবুতাহের গংরা নিতে দেয়নি।মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা বলেন কয়েক মাস পূর্বে আনিছ গং আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকায় মানব বন্ধন করেছে এবং শাহরিয়ারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ যে কোন সময় প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়ে আসছিল।

এঘটনায় শাহরিয়ার ফেব্রুয়ারী মাসের ৭ তারিখে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিল কিন্তু থানা পুলিশ আমার ভাইয়ের অভিযোগটি আমলে নেয়নি। এদিকে আটকৃত আদিলুজ্জামান এর স্ত্রী বলেন আমার স্বামী দাউদকান্দি উপজেলার বড়কোটা স্কুল এন্ড কলেজে চাকরি করেন, ঘটনার পর বাড়িতে আসেন তাকেই পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। অপর আটক শামীমের মা শাহিদা হোসেন বলেন আমার ছেলে শামীম একটি ফার্মেসীতে চাকরী করে সন্ধায় বাড়িতে আসে মারামারির খবর পেয়ে দেখতে গিয়ে ছিল।

এবিষয়ে তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন মারামারির খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনা স্থলে গিয়ে শাহরিয়ারকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করি এবং ভিক টিমের পরিবারের সনাক্তে ২জনকে আটক করি। পরে আহত শাহরিয়ারকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আজ সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরন করেছি।

আটক কৃত আদিলুজ্জামান ও শামীমকে কোর্টে প্রেরণ করেছি। এঘটনায় শাহরিয়ার বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২৯জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেছে। তবে গরু চরির কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও সাংবাদিকদের জানা ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *