ছাতকে পাবেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলা।

বাংলাদেশ

কামরান আহমদ–ক্রাইম রিপোর্টারঃ-

সুনামগঞ্জের ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকুল গ্রামের কিশোর পাবেল হত্যান্ডের ঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরকে ও অপর মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদককে আব্দুল খালিককে প্রধান আসামী করা হয়ছে।

জানা যায়, খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে গত ২৯ জানুয়ারি মায়েরকুল গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫জন আহত হয়। ঘটনার পরদিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান পাবেল মিয়া।

এ ঘটনায় নিহত পাবেল মিয়ার মা পারভিন বেগম বাদি হয়ে ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরকে প্রধানসহ গ্রামের ৩৮ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২৩) দায়ের করেন।

অপর পক্ষের গুরুতর আহত জমসেদ আলী, সমসেদ আলী ও ময়না মিয়া এখনো আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, মায়েরকুল গ্রামের মৃত. নাসির উল্লাহর পুত্র কুদ্দুছ আলী বাদী হয়ে দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিককে প্রধানসহ মায়েরকুল ও খুরমা গ্রামের ২৩ জনকে আসামী করে ৪ ফেব্রুয়ারি থানায় পাল্টা মামলা (নং- ৬) দায়ের করেন।

এ মামলায় খুরমা গ্রামের আব্দুল খালিক, সুজন মিয়া, মায়েরকুল গ্রামের রমজান মিয়া, সেবুল মিয়া, ছমির উদ্দিন, কমরু মিয়া, আব্দুল কাহার, আছকির আলী, আলী আহমদ, রাসেল মিয়া, কামাল মিয়াসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
জমি দখলের উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করার অপরাধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

পাবেল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানা পুলিশ মায়েরকুল গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র জাকির হোসেন (২৮), আব্দুন নুরের পুত্র আলী নুর (১৭) ও আব্দুল কাদিরের পুত্র হাবিব মিয়া (২০) কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। কুদ্দুছ আলীর দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

পাল্টা-পাল্টি মামলায় গ্রেফতার অতংকে মায়েরকুল ও খুরমা গ্রাম প্রায় পুরু শুন্য হয়ে পড়েছে। ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাল্টা-পাল্টি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *