একমাত্র সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন টুম্পা রাণীর

দাউদকান্দি উপজেলা

 

লিটন সরকার বাদল,
দাউদকান্দি উপজেলার চিনামূড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী দরিদ্র পিতা নিবাস ওরফে মরন সূত্রধর মেয়ের যৌতুকের দাবি পরিশোধ করতে পারেনি। তাই তার মেয়ে টুম্পারাণী (২২) কে আড়াই বছরের শিশু সন্তান নিয়ে স্বামী সংসার ছেড়ে এখন থাকতে হচ্ছে বাবার বাড়িতে সৎ মায়ের সংসারে। ফলে একবেলার এক মুঠো খাবার খেয়ে টুম্পারাণী তার সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বামীর ভাড়া করা লোকদের হুমকি। স্বামীকে টাকা দিতে না পারায় বাপের বাড়ীতে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে টুম্পা রানী সূত্রধর
জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে উপজেলার বিটেস্বর ইউনিয়নের নোয়দ্দা গ্রামের বিনয় ভোষন দাসের ছেলে দিপঙ্কর দাসের সাথে একই উপজেলার চিনামূড়া গ্রামের নিবাস সূত্রধর ওরফে মরন সূত্রধরের মেয়ে টুম্পা রাণী দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সাংসারিক জিনিসপত্র দিপঙ্করকে দেয় বলে টুম্পার বাবা মরন সূত্রধর জানান। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।স্বামী দিপঙ্কর ব্যবসার জন্য তার শশুরের কাছে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে না দেয়ায় তাকে(টুম্পা) শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। স্বামীর অত্যাচার বৃদ্ধি পেলে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এনে তাকে দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর সে আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে নির্দয়ভাবে মারপিট করতে থাকে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায় তিন বছরের নিলয়কে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।গেল একবছর দিপঙ্কর তার ছেলে ও স্ত্রীকে কোন ধরনের ভরন পোষন না করে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলে জানান টুম্পা।ফলে টুম্পা কুমিল্লা আদালতে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। মামলা করার পর থেকে দিপঙ্কর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। টুম্পা তার শিশু সন্তান নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একদিকে কাঠমিস্ত্রি বাবার অভাবের সংসার, আবার ঘরে সৎ মা, স্বামীর ভাড়া করা মস্তানদের হুমকি সবমিলিয়ে টুম্পা ও তার ছেলে নিলয়কে নিয়ে কি করবে ভেবে পাচ্ছেন না। টুম্পার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *