রাজধানীর বাজারে এখন এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১১০ থেকে ১২০ টাকা; এক বছর আগের তুলনায় যা ৭৭ শতাংশ বেশি। এক মাসে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
রাজধানীর বাজার ঘুরে এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে গতকাল রোববার এমন চিত্র পাওয়া যায়। পেঁয়াজ ছাড়াও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের দাম। ডিমের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় গতকাল বেশি ছিল। অবশ্য আলু, আদা, জিরা, লবঙ্গের দাম কিছুটা কমেছে। চড়া কাঁচা মরিচের দর।
খুচরা বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, এবার কাঁচা পেঁয়াজ যখন বাজারে আসে, তখন থেকেই দাম বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে সেটাও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে। তা ছাড়া এত দিন ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ছিল না। এসব কারণেও দাম একটু বেশি।
গতকাল টিসিবি জানিয়েছে, আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে আমদানি করা পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি ছিল। এক বছর আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গতকাল সন্ধ্যায় দেখা যায়, পাইকারি দোকানে মানভেদে ও দোকানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
আমদানি (ভারতীয়সহ) করা পেঁয়াজ আরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল টিসিবি জানিয়েছে, আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে আমদানি করা পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি ছিল। এক বছর আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এখন আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১৫৬ শতাংশ বেশি।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এত দিন ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকলেও কয়েক দিন ধরে আসতে শুরু করেছে। এ কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কিছুটা কমেছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো