হোমনায় গণধর্ষণ মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী সুমন এবার ধর্ষণ করলো নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী’কে।

কুমিল্লা হোমনা

দৈনিক আজকের মেঘনা ষ্টাফ রিপোর্টার,সৈয়দ আনোয়ার,হোমনা,কুমিল্লা।
কুমিল্লার হোমনায় গণধর্ষণ,মারামারি ও মাদক সহ একাধিক মামলার আসামী সুমনের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা।আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

ভিকটিমের পিতার অভিযোগ মতে, জানা গেছে,গত ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার সকাল ১১টার সময়, নবম শ্রেনীতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১৫ বয়সের মেয়েটি। জমিতে কাজ করতে যাওয়া তার কৃষক বাবাকে খাবার দিয়ে ফিরে আসার পথে। মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্ক দাড়িগাঁও গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে(রাজা মিয়ার সন্ত্রাসী পুত্র) সুমন মেয়েটিকে, জোরপূর্বক ভংগারচর রজ্জব আলী মাষ্টারের কাঠ বাগানে তুলে নিয়ে। ধর্ষণ করে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পূর্ব বহু অপরাধ দামাচাপা দেয়ার মতো এবারো এই ঘটনাটিও দামাচাপা দিতে শুরু হয় একটি মহলের অপচেষ্টা। কিন্তু চোঁখের সামনে নিজ কণ্যার জীবন্ত লাশে পরিনত করে দেয়া অপরাধির সাথে অাপোষ.! অপকৌশল,হুমকি কিংবা মৃত্যু ভয় কোন কিছুতেই অাটকিয়ে রাখতে পারেনী এই পিতাকে।

সকল বাঁধা,ভয়ভীতি’ রক্তচক্ষু’কে উপেক্ষা করে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ গত ০৪ মে শনিবার রাতে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। হোমনা থানা মামলা নং-৪।
মামলা গ্রহন কর ভিকটিমের স্বাস্থ পরিক্ষা সহ আইনানুগ প্রদক্ষেপের মাধ্যমে ধর্ষক সুমনকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানালেন অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান সুমনের নামে গণধর্ষণ, মাদক সহ প্রায় ৮ মামলা আছে। এবং পূর্বের সব’কটি মামলায় সে মহামান্য আদালত কর্তৃক জামিনে মুক্ত ছিলো।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সুমন সরকার এই এলাকার চিহৃিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকসেবী। এলাকায় অসহায় নারীদের নির্যাতন, ধর্ষন,মারামারি,মাদক ব্যবসা সহ বহু অপকর্মের হোতা এই সুমন ।

একটি মহলের সু-দৃষ্টিপ্রাপ্ত ও ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটে চলা এই সুমন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। কিন্তু তার ভয়ে কেউ মুখ না খুলতে চাইলেও,সকল ভয়’কে জয় করে কেউ কেউ নিয়েছেন আইনের আশ্রয়। ভুক্তভোগীদের দাবী আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মামলা করার পর, পুলিশ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করলেও। আইনের ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে এসে, আবারো অপরাধ জগতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে মূর্তিমান আতংঙ্ক এই সুমন।

এবার দরিদ্র পিতার কণ্যা ১৫ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রী’কে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পর থেকে। সুমনের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক,সাংবাদিক,সমাজকর্মী ও আলোঁকিত হোমনা গড়ার প্রত্যয়ী সংগঠন সহ সাধারণ মানুষ। সবার একটাই দাবী ধর্ষণ,গণধর্ষণ, নির্যাতন আর মাদক কারবারেরর হোতা সুমন ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহনের মধ্যমে তার অপরাধ সাম্রাজ্য ধ্বংশ করে। তার ও তার সহযোগীদের হাতে জিম্মি মানুষের জন্য করা হোক মাদকমুক্ত ভয়হীন মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *