‘হংকংয়ের উত্তেজনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে’

আন্তর্জাতিক

হংকং জুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অঞ্চলটির আইনজীবীরা। মধ্যস্থতার জন্য ওয়াশিংটনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। এদিকে ব্যবসায়িক মন্দা কাটাতে বিক্ষোভ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। চীনের পক্ষ থেকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আন্দোলনকারীদের।

প্রায় পাঁচ মাসের টানা আন্দোলনে অচল হংকং। বৃহস্পতিবারও অঞ্চলটিতে বিক্ষোভে নামেন সাধারণ বাসিন্দারা। যাদের অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী।

একজনর্থী বলেন, ‘প্রশাসন কিছুই করছে না আমাদের জন্য। তাই আমরাও আন্দোলন থামাতে পারছি না।’

আরো একজন বলেন, ‘আমাদের একটাই চাওয়া, সরকার যেন আমাদের বোঝে। কিন্তু তারা গোঁ ধরে বসে আছে।’

হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে ফেসবুক, টুইটারের পর এবার ইউটিউবে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ২১০টি চ্যানেল বন্ধ করেছে গুগল। এবারও চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব চ্যানেল ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হেয় করার চেষ্টা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, হংকংয়ের ১ হাজার ৬শ ১৪ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত জুনে এগুলো হ্যাক হয়। এর পেছনে কারা জড়িত তা খোঁজা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে।

এদিকে, অঞ্চলটিতে চলমান বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হংকংয়ের বিশ্লেষক ও আইনজীবীরা। তারা যুক্তরাষ্ট্র দ্বীমুখি আচরণের নিন্দাও জানান।

তাদের একজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হংকং ইস্যুতে চীনকে চেপে ধরতে চাইছে। কারণ চীনকে নিয়ে সবসময় যুক্তরাষ্ট্র ভয়ের মধ্যে থাকে।’

একদিকে ওয়াশিংটন বলছে, তারা সংকট সমাধানে এগিয়ে আসবে অন্যদিকে তারা বিক্ষোভ উসকে দিচ্ছে। তাদের এরূপ দ্বীমুখী আচরণ ছাড়তে হবে।

এ অবস্থার মধ্যে অঞ্চলজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে বিক্ষোভ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের ব্যবসায়ী নেতারা।

ব্যবসায়ী নেতাদের একজন বলেন, ‘বিশ্বে হংকং একটি অন্যতম বড় অর্থনৈতিক শক্তি। এখানে এক দেশ দুই নীতির ব্যবস্থা চলমান। তবে উত্তেজনার কারণে গত কয়েক মাসে অর্থনৈতিক ধস নেমেছে। যা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ বের করতে হবে।’

চীনের পক্ষ থেকেও আবারও একই আহ্বন জানানো হয়েছে।

গত ৩১শে মার্চ থেকে হংকংয়ে বিক্ষোভ চলছে। প্রথমে চীনের কাছে অপরাধী প্রর্ত্যপণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও বর্তমানে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *