সাপাহারে লীজকৃত আমবাগানের বেড়া কেটে কিছু অংশ দখলে নেওয়ার অভিযোগ।

নওগাঁ রাজশাহী বিভাগ
নওগাঁর সাপাহারে ফরহাদ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির লীজকৃত আমবাগানের বেড়া কেটে কিছু অংশ দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ভোক্তভোগী চট্রগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানার নাজিরপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ফরহাদ উদ্দীন এক লিখিত অভিযোগে জানান, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আম বাগান সৃজন করার অভিপ্রায়ে ২০১৩ সালের ৪ অক্টোবর সাপাহার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল আলম চৌধুরীর কাছে থেকে সাপাহার মৌজার গোডাউনপাড়ায় প্রায় ৪৫ বিঘা সম্পত্তি লীজ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকজনের কাছে প্রায় ১০ বিঘা লিজ নিয়ে বৃহত একটি আমবাগান ও গরু এবং ভেড়ার খামার স্থাপন করে ভোগদখল করে আসছেন।
বাগান ও খামার দেখভালের জন্য পত্নীতলা উপজেলার ঘোলা দিঘী গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীন এর ছেলে আব্দুল লতিফ ও ওরফে শুকুর আলী (৫৫) কে মাসিক বেতন চুক্তিতে দারোয়ান হিসেবে নিয়োগ দেন। শুকুর আলী দ্বায়িত্ব পালন কালে লোভের বশবর্তী হয়ে বাগান মালিকের দূরবর্তী অবস্থান ও সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় অসাধুতার পথ অবলম্বন করে। পরে বাগানের পুরোটাই দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় শুকুর আলী, তবে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হন তিনি। অভিযোগে আরও বলা হয়, এতো কিছুর পরও ক্ষান্ত হননি শুকুর আলী। বাগানে এসে, ফোনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন লোক মারফত হুমকি প্রদান সহ জানে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আসছিলো সে।
তারইধারাবাহিকতায় ১৬ আগস্ট সকালে শুকুর আলীর ইন্ধনে ভাড়াটিয়া হিসেবে উপজেলার গোডাউনপাড়া গ্রামের সাফিউদ্দীনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৫) সহ ১০/১২ জন ব্যক্তি ফরহাদ হোসেনের লীজকৃত বাগানের সীমানা বেড়া কেটে প্রায় ৩ বিঘার মত জায়গার গাছ কেটে দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ক্ষতি সাধান করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে আব্দুর রশিদ বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেন বলে জানান ফরহাদ।
এব্যপারে মুঠো ফোনে আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই সম্পত্তি আমার বাবার সম্পত্তি তাকে শর্ত সাপেক্ষে লিজ দেওয়া ছিলো। বর্তমানের ফরহাদ হোসেন তার লিজের শর্ত ভঙ্গ করায় আমাদের সম্পত্তি আমরা দখলে নিয়েছি।
এবিষয়ে সাপাহার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *