যাচাই না করেই চালকের নিবন্ধন দিচ্ছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি

ঢাকা বিভাগ

রাজধানীতে বাস কিংবা ভারী যানবাহনের বেপরোয়া গতি চোখে পড়ে প্রায়ই। সাথে রয়েছে নিয়ম না মেনে ফাঁক-ফোকর গলে মোটরবাইকের দ্রুত গতিতে চলা। এরই মাঝে নতুন করে যোগ হয়েছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপভিত্তিক সেবা। সব মিলিয়ে সড়কের বিশৃঙ্খলা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনাও।

যেখানে মোটরসাইকেল থাকলেই যে কেউ হচ্ছেন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির চালক। এক্ষেত্রে যাচাই করা হয় না অভিজ্ঞতা। শুধু অভিজ্ঞতাই নয়, একজন চালক কখন, কোথায়, কি অবস্থানে আছে অথবা আদৌ কোনো অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা, তার খোঁজও রাখছে না। আর এসব ব্যাপারে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও নেই কোনো সদুত্তর।

এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে একটি কিশোরীর আত্মহত্যার কথা জানা গেছে, যেখানে একজন উবার চালকের ধর্ষণের ঘটনা উঠে এসেছে। উবার চালক বাদশা তার জবানবন্দিতে বলেন, উবারে রেজিস্ট্রেশন করা প্রাইভেট কারেই সেই কিশোরীকে দু’দফা ধর্ষণ করে।

আরো একটি পেছনে গেলে আমরা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্যর ঘটনা জানতে পারি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেল ও কাভার্ডভ্যানের প্রতিযোগিতার বলি হতে হয়েছিল এই নিষ্পাপ মেয়েটিকে। যেখানে কাভার্ড ভ্যানের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের গতি ছিল অতিরিক্ত। আর মোটরসাইকেলটি ছিল রাইড শেয়ারিং অ্যাপস উবারের।

এদিকে, পরবর্তীতে সেই উবারের খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, উবারের চালকের দেয়া ঠিকানাটি ভুয়া। এ ব্যাপারে উবার কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেনি।

আর এসব নিয়েই রিপোর্ট করা হয়েছিল সময় সংবাদে। এরপর বিভিন্ন জায়গা থেকে অজ্ঞাত ফোন আসে, এবং এসবের সত্যতা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া নানাভাবে এসব নিউজের সত্যতাকে বিকৃত করার চেষ্টাও চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *