মেঘনায় সড়কের সংস্কার না হওয়ায় দূর্ভোগে কয়েক লক্ষ মানুষ।

কুমিল্লা চট্টগ্রাম বিভাগ মেঘনা

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় মানিকারচর বাজার থেকে পারারবন সেতু পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার (মেঘনা-হোমনা-কুমিল্লা) সড়ক ও মানিকারচর বাজার থেকে আলিপুর ৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, সংস্কার কাজ না হওয়ায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে মেঘনা উপজেলার ও পাশ্ববর্তী হোমনা,তিতাস,মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ। বেহাল দশার কারণে যানচলাচল মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এই এলাকার মানুষ এই রাস্তা গুলো ব্যবহার করে ঢাকা-কমিল্লা যাতায়াত করেন। এদিকে রাস্তা ভাংগা থাকার কারণে যানবাহনের যাত্রীদেরও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেঘনা-মানিকারচর-পাড়ারবন-হোমনা-কুমিল্লা সড়কে মানিকারচর বাজার থেকে পারারবন পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ও মানিকারচর বাজার থেকে আলিপুর ৫ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় কার্পেটিং ও ইট উঠে গিয়ে মাটির বের হয়ে গেছে। ভাংঙ্গা চূড়া এই রাস্তায় যানবাহনের প্রতিদিনই দূর্ঘটনর শিকার হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। আর বৃষ্টি হলে পানি জমে যানচলাচল চরমভাবে ব্যহত হয়। বিশেষ করে রাধানগর-পাড়ারবন সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মানিকারচর বাজারের ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন এই রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে মালামাল আনা নেওয়া করতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। দ্রুত এই রাস্তা সংস্কারের দাবী জানাচ্ছি। রিক্সা চালক লতিফ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে,ঝুকি নিয়ে রিকসা চালাচ্ছি প্রায়ই দূঘটনার স্বীকার হচ্ছি, সন্ধার পর এই রুটে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। সিএনজি চালক শফিক মিয়া জানান, এই রাস্তায় যখন গাড়ী চালাই তখন ভয়ে থাকি কখন যেন গাড়ী উল্টে যায়। প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে গাড়ি চালাই। এম্বুলেন্স চালক শাহাবুদ্দিন জানান, এই রাস্তাটি ব্যবহার করে আমরা হোমনা-বাঞ্ছারামপুর-তিতাস উপজেলার রোগীদের ঢাকা নিয়ে যেতাম জরুরী প্রয়োজনে, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে গৌরিপুর ঘুরে যেতে হয়, এতে করে সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে যাচ্ছে। শিক্ষক মোঃ আলিম জানান, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।। রাস্তাটিতে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। আমিও কয়েকবার দূর্ঘটনার শিকার হয়েছি। রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তায় সংস্কার হচ্ছে না। এলাকার মানুষের দূর্ভোগের প্রতীক হয়ে উঠেছে এই রাস্তাাটি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যান চলাচল করতে পারছেনা ঠিক ভাবে, ঝুকি নিয়ে চলছে যান-বাহন। রাধানগর ইউনিয়নে অধিগ্রহণের জায়গা দখল করে রেখেছেন কয়েকজন ব্যক্তি, এই কারণে পাকা করা যাচ্ছে না, কারণ ব্যক্তিগত জায়গা দিয়ে এখন রাস্তাটি রয়েছে। ঈদের আগে আমার নিজ উদ্দ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করেছি। উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার মাহমুদুল আশরাফ জানান প্রায় ৫ বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিলো এই রাস্তা গুলো। আমি আসার পরে সংস্কারের জন্য ইস্টিমিট পাঠিয়েছি, ইস্টিমিট ফেরত আসছে, নতুন রেটে ইস্টিমিট চাইছে তাই নতুন রেটে করে দিচ্ছি। এটি পাশ হলে এই রাস্তা গুলো সংস্কারের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে টেন্ডার আহবান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *