মেঘনায় ৮ মামলার আসামী পুলিশের হাত থেকে পলায়ন

কুমিল্লা চট্টগ্রাম বিভাগ মেঘনা

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লা মেঘনায় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে আমান উল্লাহ নামের এক আসামী পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমান উল্লাহ বড়কান্দা এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে। গত রোববার রাত ৯ টার উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা( কান্দাপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন। থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে বসাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি একটি সংঘর্ষ হয় সে সংঘর্ষের মিমাংসার জন্য বড়কান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস করছিলেন সেই শালিসে আমান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় এলাকায় চাঁদাবাজী, দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে ৮ টি মামলা রয়েছে এবং সকল মামলার জামিনে ছিলেন আমান উল্লাহ। একাধিকবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে জামিনে এসেই অপরাধে জড়িয়ে পরার অভিযোগ রয়েছে । থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আহমেদ মোর্শেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাত গত রোববার রাত অনুমান ৮ টার দিকে শালিশে আছে বলে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করতে গেলে সে কথা—কাটাকাটি সহ ধস্তাধস্তি করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন খেলা দেখতে বসাকে কেন্দ্র করে একটি মারামারি হয় সেই মারামারির মিমাংসা করার জন্য ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শালিশ বসি আকস্মিক পিছনে উচ্চ স্বরে আওয়াজ পেয়ে সবাই উঠে দাঁড়িয়ে দেখি পুলিশ পরে আমি শালিশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। আমান উল্লাহর পূর্বে একাধিক মামলা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলা আছে জানি তবে কয়টা তা জানিনা। এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন বলেন গত ২২ নভেম্বর উপজেলার শিবনগর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামানোর সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয় সেই ঘটনায় ১৮ জন আসামি ও অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন সেই মামলায় আমান উল্লাহ জড়িত রয়েছে ফলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বড়কান্দা কান্দাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করার সময় সে ধস্তাধস্তি করে পালিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *