মোঃ রাসেল মিয়াা,মুরাদনগর(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে পেঁয়াজের পর এবার অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে লবন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায় এই তুঘলকি কান্ড। বাজারে আগত বেশিরভাগ ক্রেতাদের হাতে দেখা মিলে লবনের প্যাকেট। আবার কেউ কেউ ১০-১৫ প্যাকেট লবন কিনেছেন দাম বাড়বে বলে এমন আশঙ্কায়।
পেঁয়াজের মতো দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে না যাওয়ার আগেই অতিরিক্ত দাম দিয়েই লবন কিনেছেন ক্রেতারা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা আদায় করছেন অতিরিক্ত টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্রেতা জানান, পেঁয়াজের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে লবনের দামও একইভাবে বৃদ্ধি পাবে এমন কথা জানার পর লবন কিনতে বাজারে এসেছি।
বাজারে অতিরিক্ত দামে লবন বিক্রি হচ্ছে আগে যে লবন ৩২টাকা দিয়ে নিয়েছি সেই লবন এখন কিনতে হচ্ছে ৭০টাকা দিয়ে। কিছুই করার নেই যদি এর চেয়ে বেশি দাম হয়ে যায় তাই অতিরিক্ত দাম দিয়ে কয়েক প্যাকেট কিনে নিয়েছি। এদিকে বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, মাস্টার, এসিআই, নিউ নোভা, মুসকান, কনফিডেন্স, ফ্রেশ এবং মোল্লা সল্ট আমরা আগে বিক্রি করেছি ৩০-৩৫টাকা প্রতি ১কেজি প্যাকেট।
আজকে বাজারে বিক্রি হচ্ছে এই লবনগুলো ৫০-৬০টাকা প্যাকেট। আর খোলা লবন বিক্রি করেছি ১০-১২টাকা কেজি আজকে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫টাকা। আমাদের কিছুই করার নেই আমরাও আশঙ্কায় আছি লবনের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল খোলা লবনের ৭৪কেজি বস্তা কিনেছি ৬৬০টাকা করে। আজকের বাজারে এই বস্তার মূল্য ৯০০টাকা। তাই ক্রেতাদের বাড়তি চাপ দেখে লবনের কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, কিছু দুষ্টু প্রকৃতির ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট করে লবনের দাম বাড়িয়েছে। আজ বিকেলে উপজেলার নবিপুর বাজারে বেশি দামে লবন বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫হাজার করে ৩জন ব্যবসায়িকে ১৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দুপুর থেকে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বিভিন্ন উইনিয়নের বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।