‘মুখ ফুটে বলতে না পারা’ মানুষের পাশে পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার

কুমিল্লা

২৮ এপ্রিল ২০২০ পেশার তাঁরা কাঠমিস্ত্রী। নিয়মিত কাঠের কাজ করে যা আয় করেন, তাতেই চলে যায় সংসার। কাঠমিস্ত্রীদের কাজের সাথে যুক্ত আরেক পেশার মানুষ আছে। ভ্যানচালক। তাঁরা মূলত কাঠ আনা নেওয়া আর আসবাবপত্র মানুষের বাসায় বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে থাকেন।

দেশে চলছে করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি। কাঠমিস্ত্রীদের কাজ কার্যত বন্ধ। এতে তাঁরা যেমন আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন, তেমনি সমস্যায় পড়েছেন তাদের কাজের সাথে যুক্ত ভ্যানচালকেরাও। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের আর্থিক সমস্যার কাথা কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারছিলেন না তারা।

টেকসই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। সেই অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য রংপুর জেলা পুলিশ নিজস্ব উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অসহায় এসব কাঠমিস্ত্রী ও ভ্যানচালকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন———–
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, বিপ্লব_কুমার_সরকার_বিপিএম (#বার) #পিপিএম_পুলিশ_সুপার_রংপুর।

পীরগঞ্জ থানার পাশে গড়ে ওঠা কাঠ ও ফার্নিচার মার্কেটের কাঠমিস্ত্রী ও ভ্যানচালকদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী প্রদান করেন রংপুর জেলা পুলিশ। পীরগঞ্জ থানার মাঠে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসিয়ে দুইশতাধিক পরিবারের মধ্যে নিজেদের অর্থায়নে জেলা পুলিশ রংপুরের সহায়তায় সামগ্রী বিতরণ করেন। মানবিক এ সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল ,আলু ,ডাল, পেঁয়াজ, লবণ ও ভোজ্য তেল, চিড়া, চিনি, ছোলা, খেজুর, মাস্ক ও সাবান।

এমন দুর্যোগের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এসব কাঠমিস্ত্রী ও ভ্যানচালকগণ রংপুর জেলা পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ ছাড়াও করোনা মোকাবেলায় তাঁরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবেন এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকবেন বলেও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *