ভোলার তজুমদ্দিনে ছাএ-লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় রাম রাজত্ব করছে-প্রতারক ইয়াদ। 

বরিশাল বিভাগ ভোলা
ভোলার তজুমদ্দিনে ছাত্র-লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইয়াদ দেওয়ানের নামে (৩০) পিতাঃকাজল দেওয়ান তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের  ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  ইয়াদ দেওয়ান শম্ভুপুর ইউনিয়নে ছাত্র লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে।
গঠনা ক্রমে ০৯-০৯-২০২০ ইং তারিখে সংবাদ কর্মীরা শম্ভুপুর ইউনিয়নের উত্তর খাশের হাট বাজার সংলগ্ন বলাই বাড়ির আলামিন (২২) পিতা: শাহে আলম, এই আলামিনের বিরুদ্ধে একাদিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলামিন একই বাড়ির আমির প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে  অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
পরে স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা করে ২,৫০,০০০ (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)টাকা জরিমান করে হয়। কিছুদিন যাওয়ার পূর্বেই একই কাহিনী,সবুজের স্ত্রী আসমার সাথে ও একই প্রতারনা করেন আলামিন, কিন্তু অসহায় হওয়ার কারনে সবুজের স্ত্রী এর কোনো বিচার পায়নি।বিচার চাইতে গেলে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দিতেন আলামিন এবং ইয়াদ দেওয়ান। কিছুদিন পূর্বে আলামিন টবগী ৩নং ওয়ার্ডে নতুন বাড়ি বিয়ে করে, বিয়ের কিছুদিন পরেই একই বাড়ির খাদিজা (১৫) নবম শ্রেণীর ছাত্রী তার সাথে আলামিনের অবৈধ সম্পর্ক দেখে বিয়ের চৌদ্দ দিন পরেই নববূধু  সপ্না বিষপানে আতহত্যা করেন। পরে আলামিন ২,৩০,০০০ (দুইলক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা দিয়ে পার পেয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়,আলামিন টবগী ফকিরকান্দীর  স্বামী আমিন (প্রবাসী) স্ত্রী রুমার কাছ থেকে প্রতারনা করে ৪০,০০০০ (চার লক্ষ ) টাকা হাতিয়ে নেন আলামিন ,সব কিছুরই পিছনে হাত রয়েছে সেই ছাত্রদলের ইয়াদে দেওয়ান । গত ০৩-০৯-২০২০ ইং তারিখে খাদিজা (১৫) নবম শ্রেণী পড়–য়া মেয়েকে ইয়াদ দেওয়ারে সহযোগিতায় নিয়ে পালিয়ে যায় আলামিন, পরে ০৯-০৯-২০২০ ইং তারিখে সংবাদ কর্মীরা জানতে পেরে আলামিরের বাসায় গেলে ইয়াদ দেওয়ান সাংবাদিকদের বলেন , আমরা চেষ্টা করেছে দু পক্ষকে একত্র করে মেয়েটির বিবাহ্ পরানের । ইয়াদ দেওয়ান বলেন মেয়ের ভাইকে মেয়ে ফোনে বলেছেন আলামিনের সাথে আমার তিনদিন শারিরিক সম্পর্ক হয়েছে, আমাকে তোমরা আর নিয়ে যেতে পারবা না । বিয়ের আগে শারিরিক সম্পর্ক এবং তিনদিন ছেলের সাথে রাত্রী যাপন নিয়ে এলাকায় চানচল্য বিরাজ করছেন।
পরে ছাত্রদলের ইয়াদ দেওয়ান বলেন, আলামিন এবং খাদিজার বিয়ে  আমার সহযোগিতায় কোটে হয়েছে এখন তারা আমার কাছে আছে।
 ইয়াদ বলেন আমি ছাত্রলীগের সভাপতি, এলাকায় বিচার শালিশি আমিই করি এটা নিয়ে কারো মাথাঘামানের দরকার নাই।
কিন্তু সেই এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগন  এবং  তজুমদ্দিন উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি আমির মহাজন ও  শম্ভুপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সভাপতি মোবারক বলেন,ইয়াদ ছাত্রদল করে সে যদি ছাত্রলীগের ভাবমূতি নষ্ট করার জন্য ছাত্রলীগের নাম বলে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবে।
শেম্ভুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুজ্জামান বলেন, ইয়াদ দেওয়ার নামে কেউ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ যুবলীগের সাথে সংযুক্ত না।
এই ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানার ওসি বলেন, লিখিত  অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *