১৮ এপ্রিল ২০২০, দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর গ্রামের কৃতি সন্তান কৃষক বন্ধু ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া ফরজ, এই ফরজ কাজটি সম্পাদন করেন কৃষক। বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য সকলে লকডাউনে।
শাটডাউন, লকডাউন, আইসোলেশন সবজায়গায় খাদ্যের প্রয়োজন।
তিনি বলেন,
খাদ্যের শিল্পীরা পরিবারের প্রয়োজনে দেশের চাহিদা পূরণে এখনো ক্ষেতে-খামারে, ফসলের মাঠে।
তাদের শ্রম, অর্থ, কষ্টের উৎপাদিত ফসল সঠিকভাবে ন্যায্যমূল্যে বেচঁতে পারছেনা।
সামাজিক লকডাউনের কারনে নিজের গ্রামে পিকাপ- ভ্যান আনতে বাঁধার সম্মুখীন।
রাস্তায় গাড়ি সংকট। ভাড়া বেশি। মালামাল পরিবহনে সমস্যার কারনে কৃষক পুঁজি উঠাতে পারছেনা।
আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। ক্ষেতে-খামারের শস্যের শিল্পীরা আমার আত্মীয়-স্বজন। নিজের প্রয়োজনেই ফসলের মাঠে বিচরণ করি। কৃষকের সাথে সুবিধা-অসুবিধা ভাগাভাগি করি।
পরিবহন সমস্যার কারনে পাকা টমেটো সহ অনান্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি থেকে কি করে রেহাই পাওয়া যায় সেজন্য স্হানীয় কৃষকরা ফোন করে তাদের ক্ষেতের ফসল দেখাতে আমাকে বলে আপনি সাংবাদিক নিয়ে এখনই আসেন।
তাৎক্ষণিক প্রথম আলোর দাউদকান্দি প্রতিনিধি আবদুর রহমান ঢালী সহ আরেক জন নিয়ে ফসলের মাঠে ছুটে যাই।
তাদের সমস্যা সমাধানে যে কোনো প্রয়োজন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যাতে যোগাযোগ রাখতে পারে সে ব্যবস্হা করি।
নিজেদের, পরিবারের এবং দেশের করোনা ভাইরাস সংকট থেকে আল্লাহ যেনো আমাদের কে হেফাজত করেন সেটি বলি।
মাঠে কাজ করার সময় যেনো মাস্ক, গ্লাভস, ফুলশার্ট, ফুলপ্যান্ট পরে নিদিষ্ট দূরত্ব মেনে কাজ করে এবং শাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয় পরামর্শ দেই।
ফিরে আসার সময় আত্মীয় বিদায়ে তারা বড় সাইজের লাল টকটকে স্টবেরী টমেটো প্রায় বিশ কেজি ভালোবাসা তুলে দেয় আমার হাতে।
সবাই ঘরে থাকুন বিনা প্রয়োজন ঘর থেকে বাহির হবেন না। নিজে বাঁচুন পরিবার পরিজন ও দেশকে বাঁচান।