বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘চীনকেন্দ্রিক’ : ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে – বুধবার (৮ এপ্রিল) আবারও এই অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেন তিনি। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব সংস্থাকে অর্থায়ন বন্ধ করা হবে কিনা সে বিষয়ে চিন্তা করবেন তিনি।

তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ‘চীনকেন্দ্রিক’ বলে অভিযোগ তোলেন এবং তারা মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় ‘ভজঘট’ করেছে বলে সমালোচনা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনেও একই ধরনের অভিযোগ তুলে সংস্থাটির সততা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আবারো বলেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচিত ‘নিজেদের লক্ষ্য স্থির করা।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে কিনা, তা ঠিক করতে তারা গবেষণা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মহামারি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করার প্রেক্ষিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প উল্টো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনা করেন।

অপরদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্রমাগত কটুক্তির শিকার হওয়ার প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার সংস্থাটির মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যক্রমের সমর্থন দিয়েছেন এবং কোভিড-১৯ এর রাজনীতিকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমরা প্রত্যেক দেশের সাথে আছি, আমরা বর্ণে ভেদাভেদ করি না।

বুধবার টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস আরো বলেন, দয়া করে জাতীয় পর্যায়ে ঐক্য বজায় রাখুন, কোভিডকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করবেন না। দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক পর্যায়ে আন্তরিকভাবে একতা রক্ষা করুন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছ থেকে সৎ নেতৃত্ব দেখতে চাই। সবচেয়ে ক্ষমতাধরদের নেতৃত্ব দেয়া উচিত এবং কোভিড পলিটিক্সকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা উচিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিবের মন্তব্যকে সংস্থাটির বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেছিলেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘চীনের প্রতি পক্ষপাত’ রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা করা দেশগুলোর মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী তাদের মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *