বিজয় দিবস।

বাংলাদেশ

শাহীন সুলতানাঃ

বাঙালির জাতীয় জীবনে একটি উজ্জ্বল দিন বিজয় দিবস।লাখো শহিদের আত্মত্যাগ, স্বজন হারানোর বেদনা ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়। এই দিনে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বীর বাঙালির কাছে পরাজয় স্বীকার করে। তাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। তাই বিজয় দিবস আমাদের আত্মমর্যাদা, বীরত্ব ওসার্বভৌমত্বের প্রতীক।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে অনেক বছর। কিন্তু বিজয় দিবসের গুরুত্ব কমেনি এতটুকু। এই দিনটির মাধ্যমেই আমরা নতুন প্রজন্মকে এবং বিশ্বকে বার বার মনে করিয়ে দিই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা, শহিদদের কথা। মনে করিয়ে দিই বাংলাদেশ নামে একটি দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা, যা প্রত্যেক বাঙালি তার হ্নদয়ে ধারণ করে আছে।

বাঙালির বিজয়ের পথ লাখো শহিদের রক্তে রাঙা। বিজয় দিবস তাই আমাদের মনে সঞ্চার করে গভীর দেশপ্রেম। পূর্বপুরুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস আমাদের গর্বিত করে। দৃপ্তপদে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা জোগায়।যে কোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ওসার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন করে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় আমরা।

বিজয় দিবস শুধুই আমাদের বিজয়ের দিন নয়, এটি আমাদের চেতনা জাগরণের ও দিন।তাই এই দিনে প্রতিটি বাঙালি নতুন করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় দেশকে গড়তে। সবার প্রত্যাশা বিশ্বসভায় আমরাও যেন সবার সামনের সারিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, যেন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারি, অশিক্ষা ও দারিদ্র‍্য থেকে দেশকে মুক্ত করে একুশ শতকের অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পারি। তাহলেই আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার বিজয় যথার্থ অর্থবহ হয়ে উঠবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *