পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকারের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সংবাদ সম্মেলন!!

বাংলাদেশ

ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সেনবাগের টকবগে দুই যুবক পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে একজন নিহত ও অপরজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বালিয়াকান্দি গ্রামের সন্তান এবং এফডিসির কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক বাবু গত ২০ জানুয়ারী ঢাকার তেজগাঁও থানা হেফাজতে নিহত হয় এবং সেনবাগ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান উপজেলা যুবলীগ লীগের নেতা ও মাটি ব্যবসায়ী মোজ্জামেল হোসেন রাসেলকে থানায় ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিঠিয়ে আহত করে এবং ক্রস ফায়ারে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

এই অভিযোগে শনিবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা জাতীয় পার্টির অফিসে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাসান মঞ্জুর ও বুধবার দুপুরে সেনবাগ পৌরসভার কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেনবাগ পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন – সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মেদ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান গোলাম কবির, সেনবাগ পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র নুরজ্জামান চৌধুরী, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ হারুন,সাধারণ সম্পাদক মো. ফখর উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আহত যুবলীগের নেতা মোজ্জামেল হোসেন রাসেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রাসেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাবেক রূপসা ব্রিক ফিল্ড বর্তমানে সেনবাগ ব্রিক ফিল্ডের মালিক সবুজ ফরওয়ার্ডে ইট দিবে বলে মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সা নেয়। পরে সে ব্যার্থ হয়ে টাকা নিয়ে ব্রিক ফিল্ড পেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি মোরশেদ আলমের অফিসে একটি শালিস হয়, শালিসে ব্রিক ফিল্ডের সঞ্চিত মাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক যুবলীগ নেতা রাসেল মাটি বিক্রি করে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমানকে দিবে এবং ওসি সাহেব ঐ টাকাগুলো এমপি মহোদয়ের নিটক পাঠাবে। এই মর্মে যুবলীগ নেতা রাসেল মাটি বিক্রি করে ওসি মিজানুর রহমানকে ২১লাখ টাকা দেন। এরপর রাসেল এমপি মহোদয়কে জানান যে, সে থানার ওসি কে ২১লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু ওসি মিজান এমপি মহোদয়ের নিকট ২১লাখ টাকা না পাঠিয়ে ১৪লাখ টাকা পাঠিয়েছে। তখন জটলা বাধে, পরে ওসি মিজান এমপি মহোদয়কে বাকী ৭লাখ টাকা পাঠান। এছাড়া আরো কিছু মাটি রাসেল ৯লাখ টাকা বিক্রির চুক্তি করে, একই মাটি ওসি সাহেব অন্যএ ১৫ লাখ টাকা বিক্রির চুক্তি করে। ১৫ লাখ টাকা ও ৯ লাখ টাকা এনিয়ে উভয়ের মধ্যে মনো মালিন্য ও বিবাদ বাধে। এরই জের ধরে গত ১৯ জানুয়ারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুবলীগ নেতা রাসেলকে থানায় ডেকে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান। ঘটনার বিবরনীতে এমনটি জানান রাসেল ।

আহত রাসেলের বড় ভাই সেনবাগ কলেজের সাবেক জিএস, আওয়ামীলীগ নেতা ঠিকাদার আবদুল মতিন তার ভাইয়ের উপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেন, উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছেও বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *