কুমিল্লায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ: গ্রেফতার ৫

বাংলাদেশ কুমিল্লা

কুমিল্লায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে নজির (৩৫), নসু মিয়ার ছেলে মাহাবুব ওরফে লাবু (৩২), মৃত আবদুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫), আবদুল সামেদ খন্দকারের ছেলে নাছির আহম্মদ খন্দকার (৪০) ও মৃত মুলফত আলীর ছেলে জমির (৫০)। ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। এদিকে একইদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর সঙ্গে রাগ করে স্বামী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া খড়মপুর কেলাশাহ’র মাজারে চলে যায়। শনিবার স্ত্রী তার স্বামীকে সেখানে খুঁজে পেয়ে সন্ধ্যায় ট্রেনযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তারা শশীদল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে ওই ট্রেনে থাকা এক পকেটমার কৌশলে ওই গৃহবধূর স্বামীর কাছ থেকে সব টাকা নিয়ে যায়। গাড়ি ভাড়া না থাকায় তারা শশীদল স্টেশনের প্লাটফর্মে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় জমির নামে একজন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ায়।

এর এক পর্যায়ে জমির ও তার সহযোগীরা কৌশলে স্বামীকে তাদের স্থানীয় পোড়াপুকুর পশ্চিমপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে (স্বামী) মারধর করে প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত আটকে রাখে। এ সময় মাহাবুব ওরফে লাবু নামে একজন ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণে অংশ নেয় অন্যান্য আসামিরাও। পরে ধর্ষণের শিকার ওই স্ত্রী ও স্বামীকে শশীদল রেলওয়ে স্টেশনের সড়ক দেখিয়ে চলে যায় আসামিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *