তামান্না আফরিন কক্সবাজার প্রতিনিধিঃকক্সবাজারের রামুতে পিকনিকের একটি বাস ব্রিজের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে গিয়ে ৩৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাইপাস মোড়ে আরাকান সড়কে এ দুর্ঘটনা বলে জানান রামুর তুলাতুল হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. আবুল কালাম।আহতদের মধ্যে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা খোরশেদ আলম (২০) নামের একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া আহত অন্যরা হলেন- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলাকার শাহাজাহানের ছেলে মো. আবির (২১), নাছির উদ্দীনের ছেলে আতিক (২২), আবু বশরের ছেলে মোছাদ্দেক (২২), নুরুল আমিনের ছেলে সোহান (২২), রফি উদ্দীনের ছেলে ইউনুছ (২৪), মোস্তফা গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৬), হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুর রউফ (২৫), মোশারফ হোসাইনের ছেলে আবু মুছা (২৭), জাকির হোসাইনের ছেলে মঞ্জুরুল হুসাইন সাকিব (১৯), আব্দুল জাব্বার মৃধার ছেলে মেহেদী হোসাইন (২৩) , মোহাম্মদ কবিরের ছেলে মোহাম্মদ নয়ন (২৪), মোতাহের সিকদারের ছেলে নাঈম হোসাইন (২২), আলতাফ হোসাইনের ছেলে ফয়সাল (২০), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোশরফ হোসাইন(২৫), বাচ্ছুর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাপ্পি (৩০), শাহা জমালের ছেলে মোহাম্মদ নিজাম (২৬), আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ হাসিব (১৯), আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সজল (২৬), জাকির হোসাইন খানের ছেলে নজরুল হক সাকিব (১৯), মোহাম্মদ নাহিদের মেয়ে রহিমা আক্তার (২৬), শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিক (২৪), বেলাল হোছাইনের ছেলে মোহাম্মদ (২৬), আব্দুর শুক্কুরের ছেলে আব্দুল গফুর (২৫), পটুয়াখালীর শ্রীনগর এলাকার মোছাদ্দেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), শরীয়তপুরের আসাদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক (২৫), বরিশালের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোনাফ হুসেইন সাঈদ (২৫), বরগুনার আমতলী এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ ইসলাম (২৬), মোতাহের হোসাইনের ছেলে জিয়াউল করিম (২৪), ঢাকার আলতাফ হোসাইনের ছেলে নাজমুল হোসাইন (২৫), নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল (২৭), বরগুনা সদরের মো. খলিলুল্লাহর ছেলে আল-আমিন (২৬), কুমিল্লার সুলতানপুর এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ মাহিম (২৭), পটুয়াখালীর আবু তৈয়ব সিকদারের ছেলে মোহাম্মদ রাজিব (২৭), যশোরের মোশারফ হোসেনের ছেলে বকতিয়ার (২৫) এবং ঢাকার মির্জাপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ নোমান (২৭)।
ঘটনায় আহত ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবুল কালাম বলেন, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে আসা পিকনিকের যাত্রীবাহী ‘সাব্বির এন্টারপ্রাইজ’ (ঢাকা মেট্টো-ব- ১১-৫৮২৫) নামের একটি বাস রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন বাইপাস মোড়ে পৌঁছলে চালকের ভুলবশত: রামুর আরাকান সড়কে ঢুকে পড়ে। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর সড়কটির ব্রিজের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে বাসটিতে থাকা ৫৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৬ জন কমবেশী আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এদের মধ্যে ১৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে খোরশেদ আলম নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওসি কালাম বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ‘স্টুডেন্ট ওয়েব’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে যাত্রীবাহী একটি বাস যোগে আহতরা পিকনিকে যাচ্ছিল। বাসটির চালক ভুলবশত: রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাইপাস মোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে আরাকান সড়কে ঢুকে পড়ে। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার সময় যাত্রীদের অধিকাংশই ঘুমে ছিল। ‘
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন মো. আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, সকালে দুর্ঘটনায় আহত ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে খোরশেদ আলম নামের একজনের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’