তিতাসে বই বিতরণে টাকা নেওয়ায় ইউএনও বরাবর অভিযোগ

বাংলাদেশ তিতাস উপজেলা
মোঃ বিল্লাল মোল্লা তিতাসঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বিনা মূল্যের বই বিতরণে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তবোগী এক অভিভাবক। উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মৃত নজুমুদ্দিন মোল্লার স্ত্রী খোরশেদা বেগম বুধবার বিকালে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ৬৬নং দড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জানুয়ারী বিনা মূল্যের বই বিতরণের সময় চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল মুহিন সায়হাম ও প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. আলবিরের নিকট ৩শ টাকা দাবি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে ২৪০ টাকা দিলে টাকা ফিকে মারে ওই শিক্ষক,এসময় শিক্ষার্থীরা টাকা কুড়িয়ে বাড়িতে গিয়ে তাদের দাদী খোরশেদার কাছ থেকে বাকী ৬০ টাকা নিতে দেরী হওয়ায় বেত্রাঘাত করে বই দিয়ে বিদাই করে ওই শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা হল একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে সায়হাম ও তার ছোট ভাই রাসেলের ছেলে আলবির। ওই দিন গোলাম মোস্তফা ও রাসেল বাড়িতে না থাকায় তারা বিষয়টি জানতেন না। রাসেল তার কর্মস্থল নোয়াখালী থেকে বাড়িতে আসলে বই দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সায়হাম ও আলবির রাসেলকে জানালে,রাসেল সোমবার ৬ জানুয়ারী সকাল আনুমানিক ১০টায় স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আবু তাহেরের নিকট টাকা নেওয়ার কারন জানতে চায়। এসময় দুজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটে।
এদিকে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে প্রধান শিক্ষককে হত্যার চেষ্টা প্রচার করে শিক্ষক সমাজে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী সায়হামের পিতা গোলাম মোস্তফা। অভিযোগকারী খোরশেদা বলেন আমার ছেলে শাহরিয়ার হত্যা মামলার আসামী প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই  জাকির হোসেন ও ভাতিজা রেজাউল এবং আশিক। ওই খোবের বশত মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার ছেলেদেরকে হয়রানী করার জন্য বিষয়টিকে পরিকল্পিত ভাবে নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। খোরশেদা অভিযোগে আরো উল্লেখ করে শাহরিয়ার হত্যা মামলা না উঠাইলে উপজেলার সকল শিক্ষকদের নিয়ে মানব বন্ধন করবে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন বই বিতরণে টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে গোলাম মোস্তফা ও রাসেল শ্বাসরোধে করে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার শিক্ষিকারা আমাকে প্রাণে বাচিয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফ রফিকুল ইসলাম বলেন বই বিতরনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রথম দিনই দু একটি পেয়েছি এবং তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়েছি কিন্তু এতোদিন পর অভিযোগ করলে এটা কতটুকু গ্রহন যোগ্যতা পাবে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছম্মৎ রাশেদা আক্তারের কাছে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু কোন সত্যতা পওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *