তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে দিনে-দুপুরে অবাধে অন্যের জমি থেকে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছেন মাছিমপুর গ্রামের বালুখেকো ইকবাল হোসেন বাবুল।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় মাছিমপুর কদমতলী রোড এ মানববন্ধন করে বিচার চেয়ে গাজী পলাশ সরকার ও আবদুর রহমান তারা বলেন আমাদের গ্রামের ইকবাল হোসেন বাবুল কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর মৌজা ২৭৩৭,২৭৩৮ দাগে আমার আত্মীয়র প্রায় ৭০ শতাংশ জমি এই জমি চাষাবাদ করে আমাদের বরনপোষণ চলে।
কিন্তু বাবুল আমাদেরকে না জানিয়ে আমাদের এই জমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে দিচ্ছেন আমরা বাধা দেওয়ার পরেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গাজী পলাশ হোসেন বলেন মাছিমপুর মৌজা দীর্ঘদিন ধরে ২৯১০,২৯১৩, ২৯২০, ২৯১৫, ২৭৪১,২৭৪৪,২৭২৯,২৭৭৩, ২৭৩৮, দাগের ফসলের জমি ঝুঁকিপূর্ণ সম্মুখীন অবস্থায় আছে। এর মাধ্যমে বালু খননের কারণে, বাবুলের গর্তে পতিত হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ ম্যাপের তথা তিতাস উপজেলার ম্যাপে আনুমানিক ১০ একর সরকারের পক্ষ থেকে এক একর পরিমাণ জমি থেকে মাটি উত্তোলন করিয়াছে জমির মালিককে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে প্রায় ৯ একর জমি থেকে মাটি উত্তোলন করেছে এভাবে। যার মাধ্যমে তাদের ফসলের জমিতে চাষাবাদ করতে পারিবেনা আমাদের পরিবারগুলো মানবতার জীবন যাপন করছে কারণ আমরা কৃষিনির্ভর।
সরকারি বিলটি ও ২৯০৯,দাগে ১০একর বিলটিও বিলিন হইয়া যাইবে। আব্দুর রহমান বলেন আমি আওয়ামী লীগ করি বিধায় বাবুল প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে সে জোরপূর্বক আমার নামজারি করা ১৮৩১ দাগের ১৪ শতাংশ জমি জায়গার এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে ফেলেছে ইকবাল হোসেন বাবুল ৩০বিঘা জমির উদ্বে গর্তটি ৪০০ফুটের বেশি গভীর করেছে যা আশেপাশের ফসলি জমিসহ সরকারি জায়গা ভেঙ্গে যাচ্ছে এই ইকবাল হোসেন বাবুলের গর্তে পতিত হচ্ছে এমতাবস্থায় কৃষক অসহায় হয়ে দিনযাপন করছে।
গাজী পলাশ বলেন বাবুল একজন ভূমিদস্যু সে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে তার টাকার জোরে কাছে আমরা অসহায়। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বাবুলের মুঠোফোনে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজী পলাশ সরকার একটি অভিযোগ প্রদান করেন অনুলিপি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক কুমিল্লা, উপজেলা নির্বাহি অফিসার তিতাস কুমিল্লা বরাবর।