লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ওয়াপদা খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এতে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে জুন ক্লোজিং শেষ হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাটল ধরা অংশটি সংস্কার করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্রিজ নির্মাণে নিম্মমানের পাথর ব্যবহার, সিমেন্ট ও রড কম দেওয়া হয়েছে। এতে ব্রিজের দুই পাশে মাটি ভরাট করতে গেলে সেতুর উইন ওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। এদিকে গত ২৪ জুন রামগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশাররফ হোসেন ব্রিজটি পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন।
পিআইও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, মাটি ভরাট করার সময় অতিরিক্ত চাপ পড়ে ব্রিজের পূর্ব পাশের দুটি উইন ওয়ালে ফাটল ধরেছে। এতে ব্রিজটিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে জুন ক্লোজিংয়ে বিল চূড়ান্ত করলেও কাজ না করা পর্যন্ত টাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। এতে ব্রিজ সংস্কারের কাজ বুঝে নেওয়া যাবে।
জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে গ্রামীণ সড়কে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য দাসপাড়া কুইয়ার বাড়ির সামনে ওয়াপদা খালের ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সেতুটি নির্মাণের কাজ পায় লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাফলং। মার্চ মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ব্রিজ নির্মাণ কাজে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের চাহিদা পূরণ করতে হয়েছে। এতে কাজের মান খারাপ হয়। ফাটল দেখা দিলেও পিআইও জুন ক্লোজিংয়ের অজুহাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ছাড় দিতে চাচ্ছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাফলংয়ের মালিক মো. সেলিম জানান, মাটি ভরাট করার সময় সেতুর গোড়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল সংস্কার করে দেওয়া হবে। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ সঠিক নয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে রামগঞ্জ পিআইও অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জুয়েল রানা সাংবাদিকদের বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের পর ঠিকাদার ফের কাজটি করে দেবেন বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সংস্কার কাজ তাকে অবশ্যই করতে হবে।সূত্র: কালের কন্ঠ