করোনা নিয়ে ব্রিটেনের পরিকল্পনা ফাঁস, প্রস্তুতি চলছে গণকবরের

আন্তর্জাতিক

ইউরোপের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। আর এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা ইউরোপ জুড়ে। যেহেতু ইউরোপে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে তাই ছড়াতে পারে লন্ডনেও। ভাইরাসটি লন্ডনে ছড়ালে ভয়াবহতা কি হতে পারে? সে সংক্রান্ত পরিকল্পনা দপ্তরের একটি নথি হাতে পেয়েছে ব্রিটের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ডেইলি স্টার। তাতে জানানো হয়েছে কিছু পদক্ষেপের কথা। জানা গেছে, লন্ডনে করোনা ভাইরাস মারাত্মকভাবে হানা দিলে ৪০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে বলে বলা হয়েছে ঐ নথিতে। আর তারই জন্য গণকবর তৈরিরও প্রস্তুতিও করে রাখছে লন্ডন।

ব্রিটিশ অনলাইন পোর্টাল ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব কথা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে লন্ডনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব হলে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ উদ্ভব হলে ৪০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে লন্ডনে গণকবর তৈরির প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে। সামরিক বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডেইলি স্টার অনলাইনের কাছে যে দাফতরিক নথি এসেছে সেখানে লন্ডনে বড় আকারের মহামারীর (করোনা ভাইরাসের কারণে) কবলে পড়ার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

এই জরুরি পরিকল্পনাটি ‘লন্ডন রেসিলিয়েন্স পার্টনারশিপ (এলআরপি)’ কর্তৃক তৈরি করা হয়েছে। এতে ‘লন্ডন রেসিলিয়েন্স টিমও (এলআরটি)’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

‘লন্ডন এক্সট্রা ডেথস ফ্রেমওয়ার্ক’ শিরোনামের ওই নথিতে করোনভাইরাস সংক্রান্ত সঙ্কটের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিকল্পের কথাও বলা হয়েছে। মৃতদেহগুলোর ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে; কীভাবে তাদের সংরক্ষণ এবং কবর দেওয়া যেতে পারে ইত্যাদি।

৪২-পৃষ্ঠার এই নথিতে করোনা ভাইরাসে গণ-মৃত্যুর ইস্যুটি সামনে উঠে এসেছে। এখানে বিরূপ পরিস্থিতিতে লন্ডন কর্তৃপক্ষের জন্য প্রস্তাবিত সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

নথিগুলিতে বলা হয়েছে, লন্ডনে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে থাবা বসালে ‘সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতিতে’ প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৫৮ জন মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বলা হয়েছে, অতিরিক্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মরদেহ দাফন করতে আরও স্থানকে বিবেচনায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে গুদাম এবং হ্যাঙ্গারগুলোকেও বিবেচনায় রাখা হতে পারে বলে প্রাপ্ত নথি থেকে জানা গেছে।

ওই নথিতে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যুর ঘোষণাপত্রের ক্ষেত্রে সহজতর আইনকে বিবেচনায় রাখা হবে। মরদেহগুলো আরও দ্রুত দাফন করতে বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মরদেহগুলো পরিবহন ও সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।

সূত্র- ডেইলি স্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *