ইয়েমেনে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দৃশ্য টেলিভিশনে সম্প্রচার।

আন্তর্জাতিক

তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪১ বছর বয়সী এক ধর্ষককে জনসম্মুখে গুলি চালিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী। সোমবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি পাবলিক স্কয়ারে ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে, সোমবার সানায় মুহাম্মদ আল-মাঘরাবি নামের এক ধর্ষককে একটি একে রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে একটি চাদর বিছানো আছে। চাদরের ওপর শোয়ানো হয়েছে মাঘরাবিকে। দুই হাত বাঁধা হয়েছে পেছনের দিকে। পরে সেনাবাহিনীর এক সদস্য ওই ধর্ষকের পিঠের দুই পাশে দুই পা রেখে দাঁড়িয়ে যান। এ সময় ওই সদস্যের হাতে একে রাইফেল দেখা যায়।
শহরের প্রধান স্কয়ারে ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দেখতে হাজার হাজার মানুষ আশ-পাশে অবস্থান নেন। সোমবার মাঘরাবিকে প্রিজন ভ্যানে করে সানার ওই স্কয়ারে নেয়া হয়। পরে পেছন থেকে পিঠে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। তবে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঠিক কতদিনের মাথায় ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো সেবিষয়ে তথ্য দেয়নি ডেইলি মেইল।
দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য সরাসরি দেখানো হয়। ঘটনাস্থলে থাকা হাজার হাজার মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য ধারণ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য বলছে, ইয়েমেনের সব আইন শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তৈরি করা হয়। দেশটির শরীয়াহ আইনে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের বিধান রয়েছে। তবে ভিকটিমের পরিবারের যদি অভিযুক্তের শাস্তি লাঘবের সুপারিশ করে তবেই সর্বোচ্চ শাস্তি থেকে রেহাই মেলে।
দেশটিতে প্রতিনিয়ত অপরাধীদের শিরশ্ছেদ করা হলেও শরীয়াহ আইনে কীভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা হবে সেবিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.