ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন গুড়িয়ে দিলো উইন্ডিজ। অ্যামব্রিসের সেঞ্চুরিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে ক্যারিবিয়রা। ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে পা রেখেছে তারা। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩২৭ রান করে আইরিশরা। জবাবে, ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় উইন্ডিজ।
ডাবলিনের ম্যালাহাইডে বৃষ্টিতে ভেসেছিলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ। ক্যারিবীয়দের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া আইরিশরা তাই নিজেদের মেলে ধরার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচের ভেন্যু আবারো সেই ম্যালাহাইড। প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ।
রৌদ্রজ্জল ম্যালাহাইডে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি আয়ারল্যান্ডের। মাত্র ৫ রানেই ম্যাককলামকে প্যাভিলিয়নে পাঠান কটরেল। সঙ্গীর বিদায়ে হাল ছাড়েননি পল স্টারলিং। অ্যান্ডি বলব্রাইনিকে নিয়ে গড়েন ১৪৬ রানের জুটি।
৯৮ বলে ৭৭ রানের চমতকার একটি ইনিংসের পর সংগ্রহটা আরো বড় করার স্বপ্ন দেখছিলেন স্টারলিং। তবে, তাকে রুখে দেন গ্যাব্রিয়েল। আপন আলোয় তখনো দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন বলব্রইনি। অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড দ্রুত বিদায় নিলেও দলের ওপর কোন প্রভাব পড়তে দেননি ২৮ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান।
শেষ পর্যন্ত ১২৪ বলে ১৩৫ রানে থামেন বলব্রাইনি। এটি তার ক্যারিয়ারে চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শেষ দিকে কেভিন ও’ব্রায়ানের ঝড়োগতির ৪০ বলে ৬৩ রানের সঙ্গে মার্ক অ্যাডায়ারের অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় আয়ারল্যান্ড।
বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে, দেখেশুনে খেলেন দুই উইন্ডিজ ওপেনার শেই হোপ ও অ্যামব্রিস। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া হোপে এবারো স্বপ্ন দেখছিলো উইন্ডিজ। কিন্তু ৩০ রানেই তাকে বিদায় করে ক্যারিবিয়দের ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন র্যাঙ্কিন।
তবে, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন সুনিল অ্যামব্রিস। র্যাঙ্কিনের ফাঁদে ধরা দেয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৮ রান।
এরপর রোস্টন চেজ ৪৬ ও ব্রাভো থামেন ১৭ রানে। তবে, তা জয়ের পথে কোন বাধা হয়নি। শেষদিকে কোনাথন কার্টার ৪৩ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ৩৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন উইন্ডিজের। দারুণ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে পা রাখলো ক্যারিবিয়রা সূত্রে সময় টিভি