পাকিস্তান যাওয়ার আগে যা বলে গেলেন আকরাম, সৌম্যরা

খেলাধুলা

পাকিস্তানের মত ঝুঁকিপূর্ণ দেশে খেলতে যাবার আগে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়, কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনিতে অস্বস্তিতে পড়ে মনেযোগ-মনোসংযোগ নষ্ট হওয়া, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে ভাবনা, গেম প্ল্যান, ব্যাটিং অর্ডার আর নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকের না যাওয়া- কোন কিছু নিয়ে কথা বলাই বাদ নেই। গত দু’দিনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, সে সব ইস্যুতে অনেক কথা বলেছেন।

তাই আজ বুধবার রাতে বিমানের বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে ওঠার আগে টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ মিডিয়ার সামনে কথা বলেননি। তবে পাকিস্তান সফরে অঘোষিত ‘শেফ দ্য মিশন’ বোর্ড পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান আর তিন ক্রিকেটার সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন এবং শফিউল ইসলাম কথা বলে গেছেন।

বিমানে ওঠার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে আকরাম খান টিম পারফরমেন্সের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। পাকিস্তান সফরে দলের সাথে যাওয়া বিসিবি পরিচালকদের অন্যতম এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমরা যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, যদি টিম পারফরমেন্স ভালো হয়- তাহলে অবশ্যই ফল ভাল হবে।’

ওদিকে মুশফিক আর সাকিব ছাড়া পাকিস্তানের মত গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। সিনিয়রদের অভাববোধ হবে। তবে তরুণ সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন আর শফিউল ইসলাম প্রত্যেকের কণ্ঠে তরুণদের উঠে আসার জোর তাগিদ। তাদের সবার অনুভব, সিনিয়রদের না থাকা মানেই একটা ঘাটতি। কিছু শূন্যতা এবং দুর্বলতা। তা কাটাতে যারা আছেন, বিশেষ করে তরুণদের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। ভাল খেলে দলে কার্যকর অবদান রাখতে হবে।’

বাঁহাতি উইলোবাজ সৌম্যর কথা, ‘অনেক সিনিয়রই নাই, থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। অবশ্যই রেসপন্সিবলভাবে খেলতে হবে আসমাদের। চেষ্টা করবো ওভাবে খেলার।’

আজকাল তার বোলিংটাও কার্যকর হচ্ছে। জাতীয় দলের হয়ে প্রায় হাত ঘোরালেই উইকেট পাচ্ছেন। বিপিএলে নিয়মিত উইকেট পেয়েছেন। পাকিস্তানের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ভাল করার প্রাণপন চেষ্টার প্রতিশ্রুতি সৌম্যর কন্ঠে।

তিনি বলেন, চেষ্টা করবো দুই সাইডই ১০০ শতভাগ দেয়ার জন্য। যেভাবেই সুযোগ পাই, যেখানেই সুযোগ আসে চেষ্টা করবো ১০০ ভাগ দেবার।’

সৌম্যর বিশ্বাস ও আশা, ‘অবশ্যই দল হিসাবে প্রত্যাশা ভালো। যারা আমরা যাচ্ছি এবার সবাই বিপিএলে ভালো পারফর্ম করেছে। সবাই যদি বিপিএলের পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারে, তাহলে দলের রেজাল্টটা ভালো আসবে।’

ওদিকে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘ব্যাটিং অর্ডারে বড় ধরনের রদবদল ঘটতে পারে। যাকে যে কোন পজিসনে খেলতে হতে পারে।’ কোচের সে কথা শুনে মোহাম্মদ মিঠুন মানসিকভাবে তৈরি যে কোন পজিসনে খেলতে। তার কথা, ‘মনের দিক থেকে তৈরি আছি দলের জন্য যেখানে খেলতে বলা হবে, সেখানেই খেলতে এবং সেরাটা উপহার দিতে।’

শফিউলও মানছেন, ‘সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে তরুণদের ঘাড়ে বাড়তি দায়িত্ব বর্তেছে। দায়িত্বটা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে তাই বেশি এবং আমি প্রস্তুত দায়িত্ব নিয়ে পারফরম করতে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *