মেঘনায় আলোচিত রোকসানা অপহরণ ও গণধর্ষণের প্রধান আসামী গ্রেফতার।

মেঘনা

কুমিল্লার মেঘনায় বহুল আলোচিত রোকসানা অপহরণ ও গণধর্ষণের ১ নং আসামী মেঘনা থানাধীন ব্রাহ্মণ চর নয়াগাঁও গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আলী আহমদ (২৬) কে গ্রেফতার করে মেঘনা থানা পুলিশ। জানা যায় একই গ্রামের জসীমউদ্দীনের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব যৌন হয়রানির চেষ্টা ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করতো, বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক এই আলী আহমদ, রুকসানা মা বাবার সাথে বিষয়টি জানালে গরিব মা বাবা নিজের সম্মান রক্ষার্থে মেয়েকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এর ফতুল্লা থানাধীন মুসলিম নগর, প্রেম রোড, টিনের মসজিদ এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেন তারপরও রেহাই পাননি ধর্ষক আলী আহমদ এর হাত থেকে। গত ১৩-০৮-২০২০ ইং রোকসানা সেম্পু নেওয়ার জন্য দোকানে আসে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওত পেতে থাকা আলী আহমদ তার বন্ধু মনিরের সাহায্যে রোকসানার মুখে রুমাল চেপে ধরে রোকসানা সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আসামীরা একটা সিএনজিতে করে নিয়ে যায়, জ্ঞান ফেরার পর রোকসানা দেখতে পায় সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অধীনস্থ চিটাগাং রোড ২ নং আসামী মনিরের বাসায়, ঐ রাত্রে আলী আহমদ রোকসানাকে জোরপূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করে, একাধিকবার ধর্ষণের ফলে সে আবারও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, পরের দিন অজ্ঞান অবস্থায় আলী আহমদ তার বন্ধুর সাহায্যে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট এলাকায় তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে, রোকসানা ধর্ষণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিলে মামলায় উল্লেখ সাক্ষী মিজানুর এলাকার লোকজন নিয়ে রোকসানাকে উদ্ধার করে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়, এলাকার লোকজন রোকসানার চাচার সাথে যোগাযোগ করে, রোকসানার চাচা রোকসানাকে নিয়ে মেঘনায় গ্রামের বাড়িতে আসলে আসামীগণ তাকে পুনরায় মারধর ও নির্যাতন করে। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষ মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে করার পরামর্শ দেন পরে গত ২০-০৮-২০২০ ইং নারায়ণগঞ্জ (জেলা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়,মামলা নং২৩৪/২০২০ ধারা ৭/৯(১)/৩০। আদালত মামলাটি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করেন, পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতারুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত সহ ৬০ পৃষ্টার একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট আদালতে পেশ করেন, যাতে ডাক্তারের রিপোর্ট, ডিএনএ স্যাম্পল, মামলার সাক্ষী ছাড়াও ঘটনাস্থল, এলাকাবাসী বক্তব্য সহ ঘটনার বিভিন্ন আলামত। রোকসানার মা সাংবাদিকদের বলেন আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যাতে আমার মেয়ের মতো কোন মেয়ে এমন সর্বনাশ এর শিকার না হয়। মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে জানান আমরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, মাদক ব্যবসায়ী ২ জনসহ ৩ জনকে কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *