মেঘনায় শিশু তাবাসসুম হত্যার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে।

চট্টগ্রাম বিভাগ কুমিল্লা

কুমিল্লার মেঘনা বড় সাপ মারা গ্রামে গত ১৭-০৫-২০২০ ইং মাদ্রাসায় পড়ুয়া সাদিয়া ইসলাম তাবাসসুম (৮) এক শিশু নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের দুইদিন পর ১৯ মে তাবাসসুম যে মাদ্রাসায় পড়তো বড় সাপ মারা গ্রামের, ফাতেমা-তুজ-জোহরা মহিলা মাদ্রাসার পাশের পাট ক্ষেত থেকে পাওয়া যায় তাবাসসুম এর লাশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সন্দেহ করে তাবাসসুম কে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
নিহত তাবাসসুমের বাবা মোঃ ডালিম মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত তাবাসসুমের মা লাকি খানম পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান আমার কোন শত্রু নাই তবে আমাকে ফোনে খারাপ প্রস্তাব দিয়ে আসছে আমার পাশের বাড়ির সোহরাব হোসেন (৩২) পিতাঃ আব্দুস সালাম (সালামত), ১৭ ই মে ঐদিন সে আমার ঘরে ঢুকে আমার মেয়ে তাকে দেখতে পায়, এজন্য সে আমার মেয়েকে হত্যা করে।
লাশ উদ্ধারের পর তাবাসসুমের মায়ের কথা শুনে ও লাশ সোহরাবের বোন সীমার বাড়ির পাশে পাওয়ায়, এলাকাবাসী ও পুলিশ সাংবাদিক দের সন্দেহের তীর গড়ায় সোহরাবের দিকে, পরে ২৪ মে ঢাকা কামরাঙ্গীরচর সোহরাবের বোনের বাসা থেকে, পুলিশ সোহরাবকে আটক করে বলে আত্মীয় স্বজনরা জানায়, কিন্তু মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদ ২৪ শে মে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন, এবং বলেন আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মেঘনার লুটের চর এলাকা থেকে ৩ জুন সোহরাবকে গ্রেফতার করি, সোহরাবকে রিমান্ড সহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি কোনো তথ্য, আদালত থেকে জামিনে মুক্তি দেয় সোহরাবকে।
এদিকে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে সোহরাব ও সোহরাবের পরিবারের একটাই দাবি আমরাও চাই তাবাসসুম হত্যার বিচার হোক, তাবাসসুম এর হত্যাকারীর ফাঁসি হোক, কিন্তু আমাদের মত কোন নির্দোষ লোক যেন হয়রানির শিকার না হয়, আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে অনেক হেনস্ত হয়েছি।
তাবাসসুম হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর তৌহিদুর রহমান জানান সিআইডির ডিএনএ রিপোর্টে দর্শনের কোন আলামত পাওয়া যায়নি, শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে, সন্দেহের জাল অনেক দিকে জড়াচ্ছে, আমরা মামলাটি ভালোভাবে খতিয়ে দেখছি, খুব শীঘ্রই ভালো একটা রেজাল্ট আসবে, তদন্তের স্বার্থে আমরা এর বেশি কিছু বলতে পারছিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.