টোল আদায় বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ ঝালকাঠির মহাসড়কে পৌরসভার চাঁদাবাজী।

বরিশাল বিভাগ ঝালকাঠি
বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকায় সকল ধরনের পন্যবাহী যানবাহন থেকে পৌর টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, এটা পৌর টোল। আর পুলিশ বলছে এটা চাঁদাবাজী। মহা সড়কে পন্যবাহী যানবাহন থামিয়ে পৌরটোলের নামে টাকা আদায় করা যাবেনা।
ঝালকাঠি যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর সামনের সড়কে টোলঘর নির্মান করে পন্যবাহী যানবাহন থেকে টাকা তোলার সময় চলতি বছরের ৮ জুন পুলিশ নিয়ে টোল ঘরটি ভেঙে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই ঘটনার প্রায় ৪মাস পর গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে পুনরায় পৌর টোলের নামে পন্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা শুরু হয়। তবে এবার তারা স্থান পরিবর্তন করে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকায় পেট্রোল পাম্পের মোড়ে অবস্থান নিয়ে টাকা তোলা শুরু করে। দুপুর নাগাদ খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। কিন্ত তারা সন্ধ্যারদিকে একই স্থানে আবারো টাকা তোলা শুরু করে। টোল আদায়কারী পারভেজ খন্দকার এবং ইব্রাহিম পৌর মেয়রের স্বাক্ষরীত পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল এই টোলের ইজারাদার, তারা কাউন্সিলর দুলালের চাকুরীকরা ষ্টাফ হিসেবে এখানে টোল আদায় করতে এসেছে। রাতেই এই টোল আদায় ৩য় দফায় বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সড়ক থেকে যাতায়াতকারী ট্রাক চালক মুনসুর মল্লিক বলেন, আমি বরিশাল থেকে বাগেরহাট যাচ্ছি, ঝালকাঠি পৌরসভার রাস্তায় প্রবেশ করিনি, কিন্তু আমার কাছ থেকে পৌর টোলের নামে ৭০ টাকা নিয়েছে। পিকাপ ভ্যান চালক মেহেদী হাসান বলেন, ভোলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে এসেছি আমি ঝালকাঠি পৌরসভার ভিতরে প্রবেশ করিনাই, মহাসড়ক থেকে ভোলা চলেযাবো, আমার কাছে তারা টাকা চাইলে আমি তা নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমার সাথে তর্ক করছে। ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল বলেন, আমি ইজারাদার হিসেবে টোল আদায় করতে সড়কে লোক পাঠিয়েছি। যে স্থান থেকে টোল আদায় করছি সেটা পৌর সভার সীমানা। এদিকে পৌরসভার সীমানা হলেও জায়গাটি মহাসড়কের আওতায় পরেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাস্ত আছি বলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমীন বলেন, পৌর টোল যদি নিতে হয় সেটি পৌরসভার নিজস্ব রাস্তায় প্রবেশের পর নিতে পারবে, কিন্তু মহা সড়কে পন্যবাহী যানবাহন থামিয়ে টাকা তুলতে পারবেনা, এর কোন বৈধতাও নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, আমি বিধি অনুযায়ী ইজারা দিয়েছি। কিন্তু ইজারাদারকে মহা সড়কে গিয়ে টোল আদায় করতে কোন নির্দেশ দেই নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.