বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদ কে নারায়ণগঞ্জে দাফন করে কলঙ্ক মুক্ত করা হয়েছে ভোলাবাসি কে।

জাতীয়

এর মধ্যে দিয়ে ভোলা কলঙ্ক মুক্ত হল বলে মনে করছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এর আগে, শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর তার মরদেহ স্ত্রী সালেহা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল মরদেহ মাজেদের জন্মস্থান ভোলায় দাফন করা হবে।

ভোলায় দাফন নিয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিরসহ রাজনৈতিক ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন স্থানীয়ভাবে আপত্তি তোলায় মরদেহ নারায়ণগঞ্জে দাফনের সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার।

এর আগে, শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি বহিস্কৃত ক্যাপ্টেন মাজেদের লাশ ভোলার মাটিতে দাফন করতে দেওয়া হবে না। মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হলে ভোলা কলঙ্কমুক্ত হবে। তিনি বলেন খুনি মাজেদের লাশ ভোলাবাসী গ্রহণ করবে না। ওই লাশ প্রয়োজনে বঙ্গপোসাগরে ভাসিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান এমপি শাওন।

অপরদিকে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এক মোনববন্ধন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদের মরদেহ ভোলার মাটিতে দাফন না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানান।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত ওই নরপশুর লাশ দাফন করে ভোলার মাটিকে কলঙ্কিত হতে দেব না। যদি তার লাশ ভোলায় আসে তাহলে এ করোনাভাইরাস কে উপেক্ষা করে বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে তার লাশ মেঘনায় ভাসিয়ে দেয়া হবে।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বহিস্কৃত ক্যাপ্টেন মাজেদের লাশ তার গ্রামের বাড়ি ভোলায় দাফনের জন্য পাঠানো হলে কঠোর প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেন ভোলা পৌরসভার মেয়র জেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির। মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করায় তিনি ভোলাবাসী পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় ঘাতক মাজেদের লাশ ভোলার মাটিতে দাফন বন্ধের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.