ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি হবে কি না সে বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
ইসির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, ৩০ জানুয়ারি না হলে আগামী তিন মাসেও নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এদিকে, রিটকারির দাবি, সরস্বতী পূজার সময় নির্বাচন হলে তা হবে ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া গতকাল নির্বাচনের তারিখ পেছাতে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ হওয়ার পর থেকেই পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে রিটও হয়েছে উচ্চ আদালতে। সোমবার এ রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত প্রশ্ন তোলেন, পঞ্জিকা দেখে কেন ভোটের দিন নির্ধারণ করা হলো না। এদিন শুনানিতে ইসির আইনজীবী বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ভোটের তারিখ দেয়া হয়েছে। পিছিয়ে গেলে আগামি তিন মাসের মধ্যে আর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
গত ৫ জানুয়ারি (রোববার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ এ রিট করেন। সেখানে তিনি উল্লেখে করেন, আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা রয়েছে। দেশের সব বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে যেহেতু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে বিধায় এটি সাংঘর্ষিক।তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় পঞ্চমী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যায় না। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্ধারণের জন্য হাইকোর্টে রিট (নম্বর-১৩১/২০২০) করা হয়েছে।