তিতাসে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত

কুমিল্লা তিতাস উপজেলা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় গতকাল রবিবার রাতে এক যুবককের বুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলি ব্দ্ধৃ যুবককে স্থানীয়রা উদ্বার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকা প্রেরণ করেছে কর্তব্যরত ডাক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কেশবপুর গ্রামে রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায়। গুলি বিদ্ধ যুবক মো.রয়েল(২২)ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের মজিব চেয়াম্যানের বাড়ির দক্ষিনে রাস্তার পাশে মাচায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল রয়েলসহ ৪/৫ বন্ধু এমন সময় মটর সাইকেল দিয়ে দুই জন দুর্বৃত্ত গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে রয়েলের সাথে থাকা বন্ধুরা কাউকে না জানিয়ে দ্রুত তিতাস হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। অপর দিকে এই ঘটনায় পরস্পর শুনা যায় রয়েলের গুলি বিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে চেয়ারম্যানের বাড়ির উত্তর পাশে পাকা ঘাটলায়।

এবিষয়ে রয়েলের মা রেহেনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন তার ছেলে ঢাকা মিরপুরে মাংসের দোকানে কাজ করে। রবিবার বিকাল আনুমানিক ৪ টায় রয়েল বাড়িতে আসে এবং খাবার খেয়ে বের হয়ে যায় এবং সাড়ে ৫ টার দিকে আবারও ঘরে এসে বলে মা ক্ষুদা লেগেছে বিরিয়ানি আছে গরম করে দাও,আমি বিরিয়ানি গরম করে দিয়েছি তা খেয়ে আবারও বের হয়ে  গিয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় ঘরে এসে রাতের খাবার খেয়ে বের হলে আমি আমার মেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে পরি।

রাত আনুমানিক ১২ টায় পাশের বাড়ির এক মহিলা এসে আমাকে ডাকতে থাকে এসময় ঘুম থেকে উঠে কি হযেছে জানতে চাইলে সে বলে চেয়ারম্যান সাহেব তোমাকে ডাকে। আমি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান বলে তোমার ছেলেকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে,আমার ছেলে কই জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এই কথা বলে রয়েলের মা রেহেনা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং বলতে থাকেন আমার ছেলের কোনো শত্রু নাই ।

এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন রাত সাড়ে ১০ টা পর্যনÍ আমি আমার উঠানে হাটা হাটি করেছি বিদ্যুত আসার পর আমি ঘরে এসে শুয়ে পরি। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় আমার বড় ছেলে ঢাকা থেকে ফোন দিয়ে বলে বাড়িতে রয়েলকে গুলি করেছে এখন হাসপাতালে আছে,তখন আমি জানতে পারি। ঘর থেকে বের হয়ে জানতে পাই আমার মেজ ছেলেসহ তারা মাচায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল এমন সময় মটর সাইকেল দিয়ে দুইজন দুর্বৃত্ত এসে গুলি করে দ্রুত চলে যায় বলে জানতে পারি।

এসময় গুলিবিদ্ধ রয়েলকে আমি দেখিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এদিকে এঘটনায় তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বলেন ঘটনা শুনেছি এবং রাতেই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। গুলিবিদ্ধ যুবক ঢাকা কলেজ মেডিকেল আছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেবো। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন রয়েলের সাথে থাকা তার বন্ধুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে বলে মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.