সম্প্রতি ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্র নিয়ে উঠে আসা টাকার অভাবে নিঃশ্ব পরিচালক কাজ করছেন ক্যান্টিন বয়য়ের-এমন একটি প্রতিবেদনে প্রায় থমথমে মিডিয়া অঙ্গন। সেখানে বলা হয়েছিল নিজের প্রযোজনা আর বউয়ের গহনা আর বাড়ির জমিবিক্রি করে অর্থ লগ্নির কথা। যার নেপত্তে উঠে আসে ভিন্নতা। ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন তার স্ত্রী। মূলত তার স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসানে এসব করছেন বলে জানিয়েছে একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
সূত্রটি আরও জানায়, এখানে পরিচালকের অর্থ ছিল মাত্র ৮ লাখ টাকার মতো। বাকি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মতো অর্থ ছিল তার স্ত্রীর। চলচ্চিত্রে তেমন কোনোও চকম না থাকলেও বঙ্গবন্ধুকে পুঁজি করে একটা ধান্দামাত্র। এ রকম কিছু রটনা তুলে ধরে ইমোশনালি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নেওয়ার প্রয়াস মাত্র।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ফেরদৌস মুঠোফোনে জানান, এ চলচ্চিত্র প্রায় দু’বছর আগেই শেষ করেছি। যতদূর জানি সব কাজ শেষে চলচ্চিত্রটির সেন্সর হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সংবাদ দেখছি চলচ্চিত্রে নিঃশ্ব হয়ে পরিচালক এখন ক্যান্টিনবয়! সংবাদ পড়ে জানতে পারি আমার অভনীত সিনেমাটির পরিচালক। পরিচালক যদি চলচ্চিত্রের মার্কেটিংয়ের জন্য এমন কিছু করেন সেটা হবে তার ভুল ধারণা। সেখানে সবার ধারণা হবে আমরা হয়তো তাকে এসব শিখিয়ে দিচ্ছি। আসলে তা নয়। মূলত পরিচালক আমার কাছে আসেন দেশের বাইরে ফেস্টিভালে একটি চলচ্চিত্রে চালানোর কথা বলে। এ চলচ্চিত্রে আমার তেমন পারিশ্রমিকও নেয়া হয়নি। শুধু সাইনিং মানি নিয়েছি। চলচ্চিত্র শুটিং থেকে শুরু করে নানা রকমে ঝামেলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, কেন তিনি এ রকম করছেন আসলে তা আমার জানা নেই। একটি চলচ্চিত্রের কাজ করতে গেলে তাকে সব মাট-ঘাট বেধে নামতে হয়। সে এগুলো কাজ না করে নামলেন কেন। চলচ্চিত্র তো বড়লোক আর জমিদারদের কাজ। তাহলে কেন সে গরিব হয়ে এসব কাজে নামলেন। তাছাড়া সে যদি আগেও অনেক কাজ করতে তাহলে এ রকম ইমোশনাল কথাতে মানুষদের থেকে অনেক ধরনের হেল্প পেত। আমার মনে হয় তার জন্য চলচ্চিত্রে সব পরিচালক, কলাকুশলিসহ চলচ্চিত্রের সংশ্লিষ্টরা হেয় হচ্ছে। আমরা চলচ্চিত্রের মানুষরা তো এমন না। টাকার অভাবে ক্যান্টিনে কাজ করে খাব এমন তো নয়। বিষয়টি অতি লজ্জাজনক। আমার কথা হলো তার টাকা নেই তাহলে কেন সে চলচ্চিত্র নির্মাণে আসলেন।