লক্ষ্মী পূজাকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়নে ইউনিয়নে চলছে ঐতিহ্যবাহী ধামের গানের উৎসব। আর এ গান যেন গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে প্রাণের উৎসব। পরিবার পরিজনকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত উপভোগ করছেন সব বয়সীরা। সমৃদ্ধ করেছে জেলার লোকজ সাংস্কৃতিক অঙ্গনকেও।
উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও। ছোট্ট এ জেলায় তেমন কোনো বিনোদনের জায়গা না থাকায় ছোট খাটো আয়োজন গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে অনেকটাই উৎসবমুখর। বিশেষ করে বিনোদনের বিষয়টি আরো আকর্ষণীয়। ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে গ্রামের তরুণ সাংস্কৃতিকর্মীরা উদ্যোগী হয়ে ছেলেরা মেয়ে সেজে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করে আসছে।
লোকজ্ঞানসমৃদ্ধ গ্রামীণ শিল্পীরা সমাজের নানা অসঙ্গতি, গান ও অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরেন। শিল্পীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও বিনয়ী ও সহজ জীবনযাপনের তুলে ধরা কথা মানুষের কাছে মূল্যবান। এ কারণে ধামের গান উপভোগ করতে সব বয়সী মানুষ ভেদাভেদ ভুলে মিলিত হয় এক আঙ্গিনায়।
ঠাকুরগাঁও ধামের গানের আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রত্না রানী বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে এতো দূর এগিয়ে আসছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে বড় করে আয়োজন করা যেতো।
সকলের সহযোগিতা নিয়ে লক্ষী পূজার পরদিন থেকে এ ধামের গান আয়োজন করা হয়। তবে আর্থিক সংকটের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়।
লোকজ ঐতিহ্য সম্বলিত ধামের গান এ জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
ঠাকুরগাঁও সদর ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন বলেন, সরকার এখানে অনুদান দিলে, আরো ভালোভাবে ধামের গানের আয়োজন করতে পারবো।
জেলার ৫৩টি ইউনিয়নে এ ধামের গান অনুষ্ঠান লক্ষ্মী পূজার পরদিন, ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৭ দিন।