পাকিস্তানের অর্থনীতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। জোড়াতালি দিয়ে দেশ চালাতে হচ্ছে আশার আলো দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেকে। দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে যে সুযোগ সুবিধা তার পাওয়ার কথা ছিল তার খুব সামান্যই তিনি গ্রহণ করছেন। খরচ কমাতে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও তুলে নিয়েছেন।
এবার সরকারি বৈঠকগুলোতে চা-বিস্কুটের ব্যবস্থাও বন্ধ করে দিলেন ইমরান খান।
পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেট শহীদ আফ্রিদি একটি টিভি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ইমরান ভাই (ইমরান খান) বেশ কিপটে। তার পকেটে আপনি এক দুইশো টাকার বেশি পাবেন না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমি কিপটে নই, হিসেবি। যে পরিমাণ টাকা আমার দরকার হয় তার চেয়ে বেশি আমি কাছে রাখি না।
ইমরান খানের সেই চরিত্র বার বার সামনে এসেছে তিনি পাকিস্তানে সরকার গড়ার পর থেকেই। আর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সেটি আরো বেশি করে প্রকাশ পায়।
এমনিতে ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। তার ওপর আবার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন ইমরান। এতে দু’দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে।
বেহাল অর্থনীতির মধ্যে দেশের বাজেটে ঘাটতি কমাতে তাই নান পদক্ষেপ নিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তারই সবশেষ সহযোজন এটি।
সম্প্রতি পাক সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা আছে, কোনো সরকারি বৈঠকে এবার থেকে আর চা-বিস্কুট দেওয়া হবে না।
শুধু তাই নয়, নতুন গাড়ি কিংবা বিলাসবহুল পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন থেকে শুধু একটিমাত্র সংবাদপত্রই রাখা হবে। পাশাপাশি এসব নির্দেশিকা ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে কিনা এবং সব হিসাব রাখার জন্য অফিসারও নিয়োগ করা হবে। টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাসের ব্যবহার কমানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের।