মেঘনায় হাসপাতাল বন্ধে কতৃপক্ষের নির্দেশের দুই মাস হলেও চলছে হাসপাতাল

কুমিল্লা চট্টগ্রাম বিভাগ মেঘনা উপজেলা

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় হাসপাতাল বন্ধে সিভিল সার্জনের নির্দেশের দুই মাস পার হলেও ফার্মেসীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চলছে মানিকার চর বাজারে অবস্থিত আল শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনা দিলেও স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতালের মুল ফটকের অর্ধেক বন্ধ রেখে হাসপাতালের ভিতরে থাকা ফার্মেসীর দোহাই দিয়ে গোপনে চালাচ্ছেন হাসপাতাল। গত ২২ আগষ্ট ভুল চিকিৎসায় মেঘনায় নবজাতকের মৃত্যুর খবর মানবজমিন সহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) কুমিল্লা সিভিল সার্জন বরাবর তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.নিসর্গ মেরাজ চৌধুরীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গত ২৫ আগষ্ট সরেজমিনে তদন্ত করে হাসপাতালের অনিয়ম এবং লাইসেন্স নবায়ন নাই মর্মে প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল টি এক পত্রের মাধ্যমে বন্ধের নির্দেশনা দেন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে এবং অনুলিপি প্রদান করেন জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনকে। প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান ফার্মেসীতে এসে কথা বলে গোপনে সিজার সহ বিভিন্ন অপারেশন করছেন। রাতের বেলা বেশি হয়। এ বিষয়ে হাসপাতালের মালিক মোঃ ফজলুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছি। আপনার মুল ফটকের এক সাইট বন্ধ কিন্তু ফার্মেসী সাইট খোলা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার ফার্মেসী চালানোর অনুমোদন আছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জালাল হোসেন বলেন গত ১২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভুমি লিটন চন্দ্র দে হাসপাতাল টি সিলগালা করেছে, যদিও আমি ছিলাম না আমার মেডিকেল অফিসার ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভুমি লিটন চন্দ্র দে বলেন আমরা মৌখিক হাসপাতালের মালিককে হাসপাতাল না চালানোর কথা বলে এসেছি যদি চালায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো: ছমিউদ্দিন বলেন আমি জানি হাসপাতাল বন্ধ, যদি চালায় আর কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা দরকার আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো। এদিকে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন বলেন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি, যদি এখনো চালায় বা দায়িত্ব প্রাপ্তরা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.