মোঃ শহিদুজ্জামান রনি মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লা মেঘনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয় পূর্বঘুষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল উপস্থিত হয়ে মেঘনা ছাত্রলীগকে সু-সংঘঠিত করার লক্ষে আলোচনা করবেন। এই লক্ষে কর্মসূচি সফল করার জন্য উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা মাঠে এসে উপস্থিত হন এর মধ্যে হঠাৎ মারামারি শুরু হয়ে যায়। মারামারিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সভাপতি প্রার্থী মহাসিন সোহাগ সহ আহত হন অনেকেই। প্রায় ৩০ টার মতো মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়। পরে মেঘনা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে । এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়ে এমন পরিস্থিতি জেনে কর্মসূচি হবে না জানিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে মহসিন সোহাগের সাথে কথা বললে বলেন, এখানে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম এখানে জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ কাইয়ুম এর কোন কাজ নেই কিন্তু উনি উপস্থিত হয়ে আমি সহ আমার কর্মীদের উপর হামলা করান। আপনারা জানেন ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্র আর ছাত্রদের চলাচলের এমনিতেই অসুবিধা হয়। এই অবস্থায় আমার সহ আমার কর্মীদের ৩০ টা মোটরসাইকেল ভেঙ্গে দিয়েছে, এমন হলে ছাত্ররা কিভাবে রাজনীতি করবে। কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য কাইয়ুম হোসেন বলেন মারামারীর সময় আমি এখানে ছিলামনা পরে এসেছি, আসার পরে আমার ভূমিকা কি ছিল পুলিশ ছিল ওরা দেখেছে। মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন সিকদার বলেন উপজেলা পরিষদের ভিতরে লাঠি সোডা নিয়ে ঢুকে এমন সন্ত্রাসী কর্মকা- এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি আসবে মেঘনা ছাত্রলীগের দিকনির্দেশনা দিবে এটা মাথায় রেখে সবাইকে কাজ করা উচিত ছিল। এমন নেককারজনক ঘটনা মেঘনার জন্য সুফল হবে না আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি মামলা হলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানোগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।