দৈনিক আজকের মেঘনা ডট কম, রায়পুর আসনের মাননীয় সাংসদ মহোদয়,কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল সাহেব এক বিবৃতিতে বলেন যে,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী অচিরেই সারা বাংলাদেশ তথা লক্ষ্মীপুর -২ রায়পুরকে মাদকমুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের তরুনদের ভবিষ্যৎ দিন দিন গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। মাদকের নেশা তাদেরকে অক্টোপাসের মতো গ্রাস করে ফেলছে।
ধ্বংস করে ফেলছে নিজেদের জীবন, জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক কর্মকান্ডে। এক অনুসন্ধান রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমাদের প্রতিবেশী দু’টি রাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমানে ফেন্সিডিলসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দেশজুড়ে মরণনেশা ইয়াবার বিস্তার।
এতে যুব সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে। তরুনরা নেশার টাকার জন্য বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধের মাধ্যমে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব এবং আমরা স্থানীয় পর্যায়ে প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব হবে।
আরো পড়ুনঃ পুলিশকে ঘুষ না দেয়ায় ৩ লাখ টাকার ডিম রাস্তায় ফেলে নষ্ট!
জানা যায়, প্রতি বছর সীমান্তে প্রায় ৮ লাখেরও বেশী ফেন্সিডিল চোরাচালানকালে বিজিবি ও বিএসএফ‘র হাতে ধরা পড়ে। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন সময়ে প্রচুর পরিমান মাদক আটক করে থাকেন।
খুব সহজে মাদক দ্রব্য কিনতে পাওয়া যায় বিধায় মাদক সেবীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রসাশন এ ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে।
কিন্তু প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা সকলে মিলে মাদক নির্মূল অভিযানকে সফল করতে সর্বক্ষণ মাদকসেবি ও বিক্রেতাদের মনিটরিং করে তাদের অবস্থান বুঝে তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে জানালে সহজেই মাদক দমন সম্ভব হবে।
আমি সর্বসাধারণের প্রতি বিনীত অনুরোধ করে বলতে চাই যে,
বিপদগামী এসব নেশাগ্রস্ত তরুন ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে সবাই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসুন।
কেননা, আজ আপনার সন্তান মাদকসেবি কিন্তু কাল যে আমার বা অন্যের সন্তান মাদকে আসক্ত না হবে এর কি কোন গ্যারান্টি আপনি দিতে পারবেন? নিশ্চয়ই না।
অতএব, আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে মাদক নির্মূলে কাজ করি এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিকের পরিচয় বহন করি।
মাদকের এই ছোবল থেকে রক্ষা করতে জনসাধারনকে পারিবারিকভাবে সচেতন হতে হবে। মরণ নেশা বন্ধে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সরকারের পাশাপাশি আপনি/আমি সচেতন না হলে ভবিষ্যতে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংশের পাশাপাশি সমাজ জীবনও ভেঙে যাবে। এ দেশে জন্ম নিবে হাজারো ঐশি।