বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ফাঁদে পরে প্রায়ই প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মামলা করলেও মিলছে না প্রতিকার। উল্টো মামলা রিট করে রেখেছে অপারেটরগুলি। এই জটিলতা নিরসনে আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক। আর ভোক্তার অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে বিশেষ আদালত খোলার দাবি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)।
শাহ নেওয়াজ। কাজ করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অফিসের প্রয়োজনে নেট ব্যবহার করতে একটি মোবাইল অপারেটর থেকে কেনেন বান্ডেল অফার। তবে অফার অনুযায়ী পাননি সুবিধা। প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে। তার মতো আরিফ আর মনিরও প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেছেন কিন্তু কোন সমাধান পাননি আজও।
নিষ্পত্তি না হলেও এখনও চলছে অভিযোগ গ্রহণ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মে, অধিদফতরটির এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রিট করে একটি অপারেটর। এরপর ওই মাসেই অধিদফতরটির এই কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বর্তমানে ওই রিট নিষ্পত্তি করতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ভ্যাকেট করার জন্য। ৬ মাস তো লাগবেই।
তবে রিট নিষ্পত্তির কাজের অগ্রগতির পেছনে অধিদফতরটির দুর্বলতা আছে বলে মনে করে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন- ক্যাব।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যে আইন সেখানে শুধু যে ভোক্তা বা ক্রেতা অভিযোগ করে তাকেই প্রতিকার দিতে পারে। সামগ্রিক প্রতিকার দেয়ার কোনো ক্ষমতা কিন্তু নাই। গেল ১৩ মে পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে বিভিন্ন অপারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৯৫০টি। সূত্রে: সময় টিভি