দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সোহেল রানা

দাউদকান্দি উপজেলা

 

১ নং দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি বিশিষ্ট তরুণ ব্যবসায়ী, মানবতাবাদী সমাজ সেবক ও দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সফল দাতা সদস্য মো. সোহেল রানা।

সোহেল রানা কুমিল্লা -১ আসনের তিন বারের সাংসদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত আস্হাশীল ব্যাক্তি।

নির্বাচনের ডামা ঢোল বাজতে এখনো শুরু করেনি তবে আগামী বছরের মার্চের দিকেই ইউপি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা । এরই মধ্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানান দিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেটের মাধ্যমে জনগণের মাঝে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। সমান তালে প্রচার-প্রচারণায় চলছে ফেসবুক ওয়ালেও।ধারনা করা হচ্ছে এবার নির্বাচন জমবেও বেশ। এ ইউনিয়নে এবার নবীন-প্রবীণের লড়াই হবে। নির্বাচনকে ঘিরে তরুণরা এগিয়ে আছে আগাম প্রচার-প্রচারণায়। এলাকাবাসী মনে করেন তরুণ ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হলে এলাকার উন্নয়ন হবে বেশি।
এ দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল রানার এর এলাকার নারী মাকসুদা আক্তার এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তরুণ প্রার্থী হিসেবে তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তিনি সুখে -দু:খে এলাকাবাসীর পাশে থাকেন। সাধ্যমতো চেষ্টা করেন মানুষের উপকার করতে। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদির নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,’ সোহেল রানা’র জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এলাকার মানুষ তরুণ হিসেবে তাকে পছন্দ করেন। তাই তার কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সোহেল রানা একজন হেভিওয়েট প্রার্থী।’

আরেক তরুণ ভোটার হালিম সরকার জানান, সোহেল রানা সুখে-দু:খে মানুষের পাশে ছিলেন।তাই তারা তরুণরা তাকেই চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সে হিসেবে তরুণ এ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটের দৌঁড়ে অনেকটা পজিটিভ অবস্থানে আছেন সোহেল রানা।

কথা হয় তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল রানার সাথে কথা হলে তিনি জানান,’ আমি বাংলাদেশ আ.লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।আমি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতোভাগ আশাবাদী। আমার বাবা অবসর প্রাপ্ত একজন সেনা সদস্য ও বীর মু্ক্তিযোদ্ধা। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মু্ক্তিযোদ্ধা পরিবার সহায়ক সরকার সেই হিসেবে আমি মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে পজিটিভ। আমি চেষ্টা করি মানবতায় পরিপূর্ণ নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ বুকে লালন করে মানুষের পাশে থাকার।চেষ্টা করি দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে। নিজের সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাই। আমি আমার ইউনিয়নের ছোট-বড়,সমবয়সী ও মুরব্বীদের কাছে নিজের জন্য সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করছি।’

এবারের নির্বাচনে এ ইউনিয়ন তিনি একজন হেভিওয়েট প্রার্থী।তার রয়েছে নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক। এ ভোট ব্যাংক তার জন্য বিজয়ী হতে বিরাট টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। তার কর্মী-সমর্থকরা আগাম প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয়ে মাঠে কাজ করছেন। তাকে বিজয়ী করার লক্ষে এবার তার কর্মী-সমর্থকরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।
তার কর্মী-সমর্থকরা জোট বেঁধেছে যে সোহেল রানা-কে বিজয়ী করার লক্ষে তারা শেষোবধি একাট্টা হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.