মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) সুমন, এ যেনো এক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার নাম!

দাউদকান্দি উপজেলা

 

হেমিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প কম বেশি সাবার-ই জানা। কিন্তু দাউদকান্দি’র এক হেমিলনের বাঁশিওয়ালা’র যাদুর কথাও হয়তো এতোদিনে পৌঁছে গেছে স্বীয় সীমানা ছাঁড়িয়ে দূর,বহুদূরে।

তাকে অনেক গুণেই বিশেষায়িত করা যায়।
রাত-বিরাতে মানুষের উপকারে ছুটে চলা একজন মানুষ। ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে চলে আসলেন জনতার সাথে ভালোবাসার রং গায়ে মাখামাখি করতে।কিন্তু শরুতে পথটা মসৃন ছিলো না।ছিলো কন্টাকীর্ণ।তিনি আসলেন।মানুষকে ভালোবাসলেন নি:স্বার্থে। জয় করলেন মানুষের হৃদয়।
আজ আর তার কাউকে ডাকতে হয় না।তার আহ্বানব্যাতীত তার কাছে ছুটে আসে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে আবাল,বৃদ্ধা বণিতা।

তবে কী তিনি হেমিলনের বাঁশিওয়ালা? বিশেষ কোনো যাদু মন্ত্রে তিনি পারদর্শী? না হয়তো তিনি যাদুকর নয়।তবে তিনি একটা বিশেষ যাদু জানেন।
সেই যাদুটা হলো মানুষকে “ভালোবাসা”। তিনি ভালোবাসা নামক বাঁশির বীণা বাজিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে চলছেন।মোহন্ত আবেশে ছুটে চলছে মানুষ তার প্রতি। তিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষকে ভালোবাসেন।মানুষের দু:খে নিজের বুক পেতে দেন। বিনিময়ে তিনি এক স্বর্গীয় সুখানুভূতি উপভোগ করেন।

আসলেই তিনি এ প্রজন্মের হেমিলনের বাঁশিওয়ালা। তা না হলে কী করে এতো লাখো মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হোন!
তিনি দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।২০ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।তিনি যেখানেই যান সেখানেই মানুষের পরম ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। তিনি অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী। পারেন শত্রুকে ক্ষমা করে বন্ধু রুপে গ্রহণ করতে, এ যেনো তার এক বিশেষ গুণ।

তিনি মাঠেঘাটে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন বিনয়ী স্বভাবে।এ উপজেলার আমজনতা আজ তার নির্বাচনী প্রতীক নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ।
তার ভালোবাসায় ও স্বভাবসুলভ আচরণে মুগ্ধ হয়ে বিরোধী মতের বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরাও তাকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রকাশ্যে।

এ যাবৎ কালে এ উপজেলায় সৌহার্দপূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও ভোটের মাঠ চষে ভেড়াচ্ছেন।তিনি সাফ তার কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যেনো তার প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি প্রতিহিংসা পারায়ণ কোনো আচরণ না করা হয়।
তার এমন উপদেশে তিনি সর্বমহলে ভূয়সী প্রশংসা কুঁড়িয়েছন।
এ উপজেলায় একটি অহিংস রাজনীতির সুবার্তা তার থেকেই প্রথম আসলো।বলা যায়,রাজনীতির সুবাতাস বইছে।তিনি চান গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুতে সকল দলের সকলের মত প্রকাশকের স্বাধীনতা থাকুক।তিনি হয়তো মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে আগামীর টেকসই গণতন্ত্রের সঠিক চর্চায় রাজনীতিতে এ প্রজন্মকে একটি পজিটিভ বার্তা দিলো।

আমি ব্যক্তিগতভাবে তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। মানুষের উপকারে কেঁদে ওঠুক তার প্রাণ। মানুষের জন্য নিবেদিত হোক তিনি। তার নাম ঠাঁই হোক গণমানুষের মনমণিকোঠায়। তিনি হয়ে ওঠুক জনতার জননেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.