নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলায় দুই সন্তানের জননী বিধবা (৪০) এক নারী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। এক রাতে পর্যায়ক্রমে ৬ জনে ঐ বিধবা নারীকে ধর্ষণ করে। গণধর্ষনের ঘটনায় আলী আকবরকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নৈকাহন আখরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আলী আকবর ঐ এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় গণধর্ষনের শিকার বিধবা নারী বাদী হয়ে আলী আকবরকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কায়েমপুর এলাকার দুই সন্তানের জননী বিধবা নারী একই উপজেলার বিনাইচরস্থ ভাই ভাই স্পিনিং মিলের শ্রমিক। সে গত ৭ অক্টোবর সন্ধা সাড়ে ৭ টায় দোকানে ঔষধ আনতে যায়। নৈকাহন বাজারের আনিসের মার্কেটের সামনে পৌছালে আলী আকবর ঐ নারীকে ডাক দিয়ে বাজারের মাছের দোকানে নিয়ে যায়। পরে দোকানের সাটার বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। নারী দোকান হতে বের হওয়ার পর বাহিরে থাকা একই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মোস্তফা (৫৫), একই এলাকার আনারুল (৪০) লিটন (৩২) নারীকে জিজ্ঞেস করে আলী আকবরের সাথে কি করছত। তার পর আপোষ করে দেয়ার কথা বলে লিটনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। একই রাত সাড়ে ৮ টায় তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে লিটন ফোন করে শাহীন (৩২) ও তরিকুল (৩৪) ডেকে এনে তারা নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতে চায়। এতে রাজি না হওয়ায় শাহীন ও তরিকুল নারীকে জোর করে রাত সাড়ে ১০ টায় একই এলাকার আলী হোসেনের নির্মানাধীন ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও বিধবা নারী লোকলজ্জায় ও ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে ঘটনা গোপন করে রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে বুধবার রাতে আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিধবা নারীকে গণধর্ষনের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামী আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।